নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে ডুবে যাওয়া রো-রো ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারে আসছে না শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। তবে রুস্তম নামের অন্য আরেকটি জাহাজ আসবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এ কে গোলাম সাদেক।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম সাদেক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে তৃতীয় দিনের মতো সকাল ৭টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। এর সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা রয়েছেন।
গোলাম সাদেক জানান, প্রত্যয় অনেক বড় জাহাজ। এখানে প্রত্যয় রাখার জায়গা নেই। তাই প্রত্যয়ের পরিবর্তে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম সন্ধ্যার মধ্যে পাটুরিয়ায় পৌঁছাবে।
এদিকে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে এ পর্যন্ত ১১টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। আরও তিনটি ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি নৌযানের নিবন্ধনের মেয়াদ ৩০ বছর হয়। বিশেষ জরিপের (ফিটনেস) মাধ্যমে এরপর দুবার পাঁচ বছর করে নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো যায়। তবে ৪০ বছরের বেশি সময় কোনোভাবেই কোনো নৌযান চলাচল করতে পারে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নৌযানের তালিকা অনুযায়ী, ফেরি আমানত শাহ ১৯৮০ সালে তৈরি। ৩৩৫ জন যাত্রী ও ২৫টি যানবাহন বহন করতে পারে এটি। ৮০৬.৬০ টন ওজনের ফেরিটি সর্বোচ্চ ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে।
গত বুধবার সকালে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। পরে ফেরিটি দ্রুতগতিতে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে। এরপর ফেরি থেকে তিনটি মালবাহী ট্রাক আনলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিটির ডান পাশে কাত হয়ে ডুবে যায়। এ সময় আমানত শাহ ফেরিতে ১৪টি ট্রাক ও কিছু মোটরসাইকেল ছিল।
বিএসডি/আইপি