নিজস্ব প্রতিনিধি:
কাত হওয়া ফেরি থেকে ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়ি উদ্ধারে পাটুরিয়ায় তৃতীয় দিনের অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান শুরু হওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট স্বল্পতার কারণে শুক্রবার নদী পারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে শত শত বাস ও ট্রাক। দূরপাল্লার বাস সহজে ফেরির নাগাল পেলেও পণ্যবাহী ট্রাককে ফেরির নাগাল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের চার লেনের রাস্তার দুই লেনজুড়ে বাস ও ট্রাকের দীর্ঘ সারি। মহাসড়কের পাশে খাওয়া ও টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাড়তি ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
অপরদিকে ফেরিঘাটে জটলা কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ১ কিলোমিটার অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে।
ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়ায় ফেরি দুর্ঘটনার পর তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। এতে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ৭ ফেরিঘাটের মধ্যে ৪টি ঘাট চালু রয়েছে। ফলে উভয় পারেই ঘাটসংকটের কারণে ফেরিগুলো পাড়ে গিয়ে সহজে ভিড়তে পাড়ছে না। এতে ফেরি আনলোড করতে সময় বেশি লাগছে। আবার বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপও এই রুটে রয়েছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
পটুয়াখালী থেকে আসা ট্রাকের চালক আবদুল গনি মন্ডল বলেন, আমাদের ভোগান্তির আর শেষ নেই। ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ১৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো ফেরির দেখা পাইনি। দিনে ঘাটে কোনো দালালের রাজত্ব না চললেও রাতে ঠিকই দালালের রাজত্ব বেড়ে যায়। তখন টাকা দিয়ে অনেকেই সিরিয়াল ভেঙে রং রুট দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ফেরিতে উঠে যায়। আমি টাকা দিতে পারি নাই তাই সিরিয়ালে এখনো অপেক্ষা করছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে দেওয়া হচ্ছে।
বিএসডি / আইকে