ভাগ্য বটে! নাহলে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে স্কোয়াডে ঢুকবেন-ই বা কেন জেসন হোল্ডার? টাইগারদের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে চোট পেয়ে ছিটকে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি পেসার ওবেদ ম্যাকয়। তার পরিবর্তে দলে জায়গা পান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। দলে ফিরেই একাদশে হোল্ডার। বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ম্যাচে বিশ্লেষকদের চোখে ম্যাচ সেরা নিকোলাস পুরান। তবে বাংলাদেশ দলের কাছে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন হোল্ডারই।
মুস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় স্কোর নিয়ে যান ১৪২ রানে। পরে ৩ রানে ম্যাচ জেতে ক্যারিবীয়রা। তবে হোল্ডার ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ফিল্ডিংয়ে। বলা যায় তার উচ্চতার কাছেই হেরে গেছে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে এ কথাই জানালেন, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, ‘লিটনের শেষ শটটা যদি ছয় হতো তাহলে আমরা জিততে পারতাম। আমিও ভেবেছিলাম ওটা ছয়। কিন্তু যখন বাউন্ডারিতে ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চির উচ্চতার ফিল্ডার থাকে তখন তো আর উড়িয়ে মেরেও নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। আজ আমাদের ক্ষেত্রে সেই ব্যাপারটাই হয়েছে।’
ম্যাচে জয়ের পথেই হাঁটছিল বাংলাদেশ দল। ব্রাভোর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারেন সেট ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। দেখে মনে হচ্ছিল ছয়! তবে বিশাল উচ্চতার হোল্ডার লাফিয়ে উঠে বলটি তালুবন্দি করেন। কার্যত সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
আক্ষেপ ঝরল মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে, ‘আমরা ঠিকঠাক ব্যাটিং করছিলাম, রাসেলের ওভার বা ব্রাভোর ওভারটায় একটা ছয় হলে আমরা এগিয়ে যেতাম। লিটন সেট ছিল- আমিও সেট ছিলাম। লিটনের ওই আউটটা যদি ছয় হতো আমরা জিততাম। রাসেল শেষ ওভারটা যে ব্লক হোলে করবে সেটা জানতাম। কারণ লেগ সাইডে চারটা ফিল্ডার ছিল। শেষ বলটাতে আমি দুভাবে মারার চিন্তা করে রেখেছিলাম, কিন্তু আমি কাজে লাগাতে পারিনি।’
বিএসডি/এসএসএ