দক্ষিণ আফ্রিকা গত সপ্তাহে ক্রিকেট মাঠের প্রতিপক্ষের চেয়ে অন্য ঝামেলা মেটাতেই বেশি সময় ব্যয় করেছে। গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশে একেক ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেছিল। রাসি ফন ডার ডুসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসি হাঁটু গেড়ে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উত্তোলন করেছিলেন। আবার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার দাঁড়িয়ে থেকে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উঠিয়ে রেখেছিলেন এবং অন্যরা শুধু দাঁড়িয়ে ছিলেন, যেমন আনরিখ নর্টিয়ে ও হেনরিখ ক্লাসেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগের দিন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার নির্দেশ দিলো, বাকি ম্যাচগুলোর আগে সবাইকে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে। ব্যস, বেঁকে বসলেন সাবেক অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় ম্যাচের দল থেকে সরে দাঁড়ালেন। ৪৮ ঘণ্টা যেতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং আবারো দলে ফেরার ইচ্ছা জানালেন।
মানে, সব বিতর্কের অবসান হয়েছে। এখন শুধুই দক্ষিণ আফ্রিকার ভাবনায় সুপার টুয়েলভের ম্যাচ। নির্ভার প্রোটিয়াদের সামনে এবার শ্রীলঙ্কা, যারা বাংলাদেশকে হারিয়ে শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেছে। সেমিফাইনালের পথটা মসৃণ রাখতে হলে ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নদের জয়ে ফিরতে হবে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শারজায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
দুই দলের ক্রিকেটীয় ইতিহাস বলছে, শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ ভোগে। এবারো তাদের জন্য গলার কাঁটা হতে যাচ্ছে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসি এবং বাঁহাতি ফিঙ্গারস্পিনার কেশব মহারাজ। আর মার্করাম তো আছেনই, গত সেপ্টেম্বরের সিরিজে ছয় ওভারে চার উইকেট নেন তিনি। এই ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে তো অস্ট্রেলিয়ার লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা বেশ ভুগিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।
জানা গেছে, আগের ম্যাচে খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সম্ভবত বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে মাহিশ ঠিকশানাকে। অধিনায়ক দাসুন শানাকার ব্যাটে রানখরা ভাবাচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারের পরীক্ষা নিবেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বিএসডি/এসএসএ