আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১২৪ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) এক টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থাটি। এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার পথে লিবীয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছিলেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) লিবিয়ার বেনগাজি শহর থেকে ১৪০ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে স্বদেশে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল আইওএম। এদের মধ্যে নয়জনের স্বাস্থ্যগত জটিলতা ছিল বলেও জানানো হয়।
তবে ফেরত পাঠানো ১৪০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ১২৪ জন দেশে ফিরলেও বাকি ১৬ জন কোথায় রয়েছেন, তা নিশ্চিত নয়।
আইওএমের স্বেচ্ছায় মানবিক প্রত্যাবর্তন (ভিএইচআর) কর্মসূচির আওতায় এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে স্বদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে আটকেপড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বদেশে ফেরার সুযোগ করে দেয় আইওএম। তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল এটি। সম্প্রতি ফের চালু হওয়ার পর প্রথম ফ্লাইটেই দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সমর্থনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং প্লেনে ওঠার আগে কাউন্সেলিং, সুরক্ষা স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই উত্তাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধপথে ইউরোপ পৌঁছানোর অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। বিপজ্জনক এই যাত্রায় প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে বিভিন্ন বন্দিশিবির অথবা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।
আইওএমের তথ্যমতে, ভিএইচআর কর্মসূচির আওতায় তারা ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ৫৩ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
বিএসডি / আইকে