নিজস্ব প্রতিনিধি:
স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় সফিকুল ইসলাম সরকার (৪৪) নামের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩১ অক্টোবর) গাজীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফারুখ এ আদেশ দেন।
এসআই শফিকুল ইসলাম মৌলভীবাজার জেলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত। তিনি নরসিংদীর মনোহরদী লেবুতলা চর হাজী খাঁ এলাকার সিরাজুল ইসলাম সরকারের ছেলে।
বাদী কাপাসিয়া টোক ইউনিয়নের পাচুয়া এলাকার নুরুন নাহার সুলতানা (৩৯)। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তোফাজ্জল হোসাইন আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় নুরুন নাহারের। তিন বছর আগে বাড়ি করার জন্য স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক দাবি করেন সফিকুল। পরে এনিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন নুরুন নাহার। এরপর সমঝোতার শর্তে মামলা প্রতাহার করতে বাদীকে বাধ্য করেন এসআই শফিকুল। মামলা প্রতাহার করার পর আবারো যৌতুক দাবি করেন তিনি। পরে চলতি বছরের ১৮ জুলাই গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে আদালত আমলে নিয়ে সমন জারি করেন।
নির্ধারিত তারিখে এসআই শফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত হননি। পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফারুখের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন এসআই সফিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী নুরুন নাহার সুলতানা বলেন, সফিকুল ইসলাম তাকে না জানিয়ে গত জানুয়ারি মাসে আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। যৌতুকের জন্য আমাকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।
বিএসডি / আইকে