নিজস্ব প্রতিবেদক:
১০ হাজার টাকায় চুক্তি করে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা খেলেন এক বিসিএস পরীক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। ডি ইউনিটে আবেদন করেছিলেন জুলকারনাইন শাহী। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। রবিবার বিকেলে তার পরীক্ষা থাকলেও অংশ নেননি। তার পরিবর্তে অংশ নেন ১০ হাজার টাকায় চুক্তি গাইবান্ধারই বাসিন্দা মাসুদ সরকার। কথা ছিল, প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে টিকিয়ে দিতে হবে। তবে পরীক্ষার হলে বাধল যত বিপত্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ২টা ১৫ মিনিটে। মাসুদও কেন্দ্রে যথাসময়ে উপস্থিত হন। সঙ্গে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ছবিসহ যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আসেন। তবে এসবই ছিল ভুয়া। পরীক্ষা শুরুর পর ছবির সঙ্গে মাসুদের চেহারার মিল পাননি কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। পরে তারা খবর দেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের। তারা এসে মাসুদকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, গত শুক্রবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন মাসুদ। পড়েন কারমাইকেল কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে। অন্যদিকে জুলকারনাইন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহম্মদ ইয়াকুব বলেন, মাসুদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছেন। যার হয়ে অংশ নেন, তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ কথা মাসুদ স্বীকার করেছেন। জুলকারনাইনের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন।
মুহম্মদ ইয়াকুব আরও বলেন, মাসুদের সঙ্গে আরও আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক একজন শিক্ষার্থী। তিনিও অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। মাসুদকে আটকে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, জেনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ডি ইউনিটের দুই সিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবেদন করেছিলেন ৫৪ হাজার ২৪৪ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী। ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। সোমবার ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসডি /আইপি