জেলা প্রতিনিধি:
আবদুর রহিম বলেন, ছেলের অপরাধের জন্য বাবাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে, এটা কেমন বিচার। আমি রিকশা চালিয়ে কোনোরকমে স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া দুই নাতনী ও প্রতিবন্ধী ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকি। কার সঙ্গে আমার ছেলের ব্যবসা আছে তাও জানা নেই। তাকে না পেয়ে টাকা পাওয়ার দাবি করে তারা বাড়িতে হামলা করে আমার ঘরের টিনের চাল খুলে নিয়ে যায়। এখন চালবিহীন (ছাউনি ছাড়া) ঘরে গত তিনদিন মানবেতর জীবনযাপন করছি। রাতে কুয়াশায় ভিজতে হচ্ছে আবার উপরে ছাউনি না থাকায় দিনে রৌদে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেননি ওই রিকশাচালক। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, মামলা করতে টাকা লাগে, সে টাকা তো আমার নাই। ঘটনার পর থেকেই আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। গত তিনদিন রিকশা নিয়ে বের হতে পারিনি। এছাড়া অভিযুক্তরাও প্রভাবশালী।
স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, রিকশাচালক আবদুর রহিমের ছেলে কাশেম চট্টগ্রামে মাছের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার জন্য ইউনুস, কালা ও রবিনের কাছ থেকে টাকা ধার নেন কাশেম। ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় কাশেম গা ঢাকা দেয়। কিন্তু পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় না নিয়ে নিজেরাই কাশেমের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ রহিমের বসতঘরের টিন খুলে ফেলে তারা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
স্থানীয় চা দোকানি আবুল হাসেম বলেন, এলাকায় ব্যবসার কথা বলে কাশেম কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় কাশেমের ঘরে কয়েকদিন আগে তালাও দেয় পাওনাদাররা। তাতেও টাকা না দেওয়ায়, কাশেম ও তার বাবার বসতঘরের টিনের চাল খুলে ফেলে তারা। আর এসব করা হয়েছে সালিশদারদের সিদ্ধান্তে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. জসিন উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি / আইকে