জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার মদন উপজলায় সুমন মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এক তরুণী ও এক কিশোরীকে টানা আটদিন ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ৯ দিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, দুইজনকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে অভিযুক্তের পরিবার। ফলে আতঙ্ক ও নীরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভুক্তভোগী দুই পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া দুই সন্তানের জনক। গত ১৭ অক্টোবর সে এক তরুণীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। তাকে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এরপর ২১ অক্টোবর কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ঐ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণী ২৬ অক্টোবর সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মদন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে ঐ তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ওইদিনই আরেক কিশোরী ছাত্রীকে অপহরণ করে বাড়ি নিয়ে টানা পাঁচদিন ধর্ষণ করে সুমন মিয়া। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ২২ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয় মাতব্বররা কয়েক দফা সালিশ বৈঠক করে ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেয় স্থানীয়রা।
ধর্ষণের শিকার তরুণী বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সুমন আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তিনদিন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এখন আমাকে কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে করার কথা বলে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে সুমন ও তার পরিবার।
ধর্ষণের শিকার ঐ স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সুমন মিয়া। এরপর পাঁচদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। থানায় অভিযোগ করার পর স্থানীয় মাতব্বররা আমার মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে যায়। এদিকে লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারছি না। অন্যদিকে সুমন ও তার পরিবার আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে মেয়েকে তার নানাবাড়ি রেখে এসেছি।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার দুটিকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দেওয়া হবে।
বিএসডি / আইকে