নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ও গ্যাস টারবাইন জেনারেটর অংশের লং টার্ম সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট (এলটিএসএ) এর আওতায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য মোট ব্যয় হবে ৩০১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক জেনারেল ইলেক্ট্রিক গ্লোবাল পার্টস অ্যান্ড প্রডাক্টস জিএমবিএইচ যন্ত্রাংশ সরবরাহ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ইউনিট গত ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গ্যাস টারবাইন এবং গ্যাস টারবাইন জেনারেটর অংশের অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হলো জেনারেল ইলেক্ট্রিক, ইউএসএ । ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। সংশোধিত ডিপিপিতে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৯এফএ.০৩ উইথ এজিপি মডেলের অত্যাধুনিক গ্যাস টারবাইন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে,যার যন্ত্রাংশ জেনারেল ইলেক্ট্রিক ছাড়া অন্য কোনো উৎপাদক সংস্থা তৈরি করে না এবং এর একমাত্র স্বত্তাধিকার জেনারেল ইলেকক্ট্রিকের। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) এর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি) সভায় ওইএম এর সঙ্গে এলটিএসএ করণের সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় কম্বাইন্ড সাইকেল স্থাপন,বিশেষজ্ঞ সেবা ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বাস্তবায়ন কাজ সম্পাদনের পর বিশ্বব্যাংকের ঋণের অব্যয়িত অর্থ থেকে প্রকল্প মেয়াদে এই ক্রয় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা গেছে, গ্যাস টারবাইন এবং গ্যাস টারবাইন জেনারেটর অংশের এলটিএসএ-এর জন্য জেনারেল ইলেক্ট্রিক, ইউএসএ বরাবর আর্থিক অফার চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জিই থেকে দেওয়া প্রদত্ত হ্রাসকৃত মূল্যের উপর ভিত্তি করে মালামাল সংগ্রহের জন্য আয়কর ও ভ্যাট ছাড়া ৩০,৭১৮,২১০.৮২ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬১,১০,৪৭,৯১৯.৮৪ টাকা দাপ্তরিক প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। তবে দরপত্র খোলার সময় মুদ্রা বিনিময় হার কমে যাওয়ায় তা ২৬০,৪৯,০৪,২৭৮.৩৮ টাকা দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ২৩৫ কোটি টাকা, যা থেকে উক্ত ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।