সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। ডিবি বলছে, তদন্ত নিজ গতিতে ও সুষ্ঠুভাবে চলছে।
শনিবার (২২ মে) ডিবি রমনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তদন্তের শুরুতেই মামলার সব নথিপত্র ও জব্দ হওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেছে ডিবি। তদন্তে অধিকতর তথ্যের জন্য রোজিনা ইসলামের জব্দ হওয়া ফোনগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
আরও জানা যায়, ইতোমধ্যে ঘটনার দিনের সচিবালয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এছাড়াও রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে নথি চুরি ও ছবি তোলার যে অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি সত্য কি-না তাও খতিয়ে দেখছে ডিবি। ডিবির তদন্তে সব কিছু যেন পরিষ্কার ও নির্ভুলভাবে উঠে আসে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রয়োজন হলে আসামি ছাড়া আরও লোকজনকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।
ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা সঠিকভাবে তদন্ত সম্পূর্ণ করেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব।
তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ হতে কত দিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার তদন্তের ওপর নির্ভর করছে আমরা কত দিনে শেষ করতে পারব। তবে ঠিক কত দিন লাগবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
এদিকে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘তথ্য নেওয়ার জন্য উনি (রোজিনা ইসলাম) ঘরে ঢুকে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলেছেন, এটাকে কী বলবেন?’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাকে (রোজিনাকে) শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে এ কথাটা কিন্তু সঠিক নয়। একজন অতিরিক্ত সচিব ও দুইজন উপসচিব পদমর্যাদার নারী ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। তারাই প্রাথমিকভাবে রোজিনার সঙ্গে ডিল করেছেন। পরবর্তীতে যখন দেখা গেল রাষ্ট্রের সিক্রেটের বিষয় আসছে, তখন পুলিশকেও ডাকা হয়েছিল। এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তো আপনাদের সঙ্গে কো-অপারেট করেই কাজ করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতে এই ধরনের ঘটনার তো দরকার ছিল না। ওখানে এটা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না বা ঢোকার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ঘটনা এতটুকুই আমি জানি। কারণ আমি তো তখন ওইখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এগুলো জেনেছি।’