আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ পাঠানো হলেও তাতে চাহিদা মেটেনি ভারতীয়দের। এর ফলে বাংলাদেশের ইলিশের অপেক্ষায় ছিল ভারত। এবার রফতানির শেষদিনে ভারতে আরও ২৯ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠিয়ে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটালো বাংলাদেশ। ফলে আরও কিছু দিন ইলিশের স্বাদ পাবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা।
ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও দুর্গা উৎসব উপলক্ষে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এই অনুমোদন পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এবার রফতানির শেষদিনে আরও ২৯ মেট্রিক টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পৌঁছেছে।
তবে যে পরিমাণ ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তারচেয়ে কম পরিমাণে পাঠানো হয়েছে। ইলিশের রফতানিকারক আবদুল কুদ্দুস জানান, ভারতে ইলিশ যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেই তুলনায় অনেক বেশি দামে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশ কেনাবেচা হচ্ছে। এরসঙ্গে প্যাকিং খরচ ও বেনাপোল পর্যন্ত ট্রাক ভাড়া আছেই। ফলে অনেকেই ইলিশ রফতানি করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে এসেছেন।
অপর ইলিশ রফতানিকারক নুরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘এবার বাজারে ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ইলিশের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেকে ইলিশ রফতানি করতে পারেনি।’
এর আগে, গত বছর এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। ২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি হতো। কিন্তু ওই বছর ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরে প্রথমে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হলেও মাঝে কিছুদিন ইলিশের ধরা বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ প্রশাসন। ইলিশের প্রজনন মৌসুম থাকায় গত ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। পরে বাংলাদেশ সরকার ভারতে রফতানির সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়।
বিএসডি / আইকে