লাইফস্টাইল বার্তা:
টুইন প্রেগনেন্সি সব সময় একটু ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য অন্তঃসত্ত্বা ছাড়াও তার পরিবারের সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যমজ সন্তান একবার হলে পরে আবারো হবে কি না এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, মা-খালাদের হয়ে থাকলে তাদের মেয়েদেরও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য র্যাশিয়াল একটা ফ্যাক্টর কাজ করে। সাধারণত লম্বা মেয়েদের যেমন, আফ্রিকান মেয়েদের যমজ বেশি হয়। তাদের ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ সন্তান যমজ হয়।
টুইন প্রেগনেন্সিতে কেন বারবার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করা হয় বা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি— এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. রাতু রোমানা (একাডেমিক পরিচালক, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ এবং সাবেক অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) জানান, যমজ অর্থাৎ এক গর্ভফুলে দুটি বাচ্চা থাকলে তারা একটু বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে থাকেন। কারণ এ ধরনের গর্ভধারণে জটিলতা বেশি হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফির ফলে জটিলতাগুলো দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। এ ধরনের সিরিয়াল আল্ট্রাসনোগ্রাফি অনেক সময় মাসে মাসে কখনো দুই সপ্তাহ পরপর করা হয়।
তিনি বলেন, বেশি বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাফির ফলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেক গর্ভবতী চিন্তিত হন। আমরা এতটুকু বলতে পারি, বেশি বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাফির ফলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়— কোনো গবেষণাতেই এমনটি পাওয়া যায়নি। সাধারণত এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যানের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে। কারণ তাতে রেডিয়েশনের একটি ব্যাপার থাকে। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাফিকে কোনো রেডিয়েশন নেই। এটি একটি শব্দতরঙ্গের (সাউন্ডওয়েব) মাধ্যমে করা হয়।
সূত্র: ডক্টর টিভি
বিএসডি/এসএইচ