আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি। কেরালা, তামিলনাড়ু এবং পদুচেরীতে কোনো সাফল্যই আনতে পারেনি দলটি। এছাড়া পর পর উপনির্বাচনেও তাদের ভরাডুবির ধারা অব্যাহত থেকেছে। এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে খবর, পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে বিজেপি সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছিল। যা নিয়ে এখন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এবং মোদি–শাহ–নড্ডাকেও।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে কত টাকা খরচ করা হয়েছিল দলটির? সূত্রের খবর, বাংলার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল আসাম, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং পদুচেরীতেও। এ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি মোট ২৫২ কোটি টাকা খরচ করেছিল। যা দিয়ে দেশের অনেক উন্নয়ন করা যেত। শুধু তাই নয়, এ অর্থের ৬০ শতাংশ খরচ করা হয়েছিল বাংলা দখলের জন্য। ভারতে এখন সবচেয়ে বিত্তশালী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হওয়ায় তারা তা করতে পেরেছিল। আর এ খরচের মূল উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে কত টাকা, কোন রাজনৈতিক দল খরচ করেছে তা জানাতে হয়। সেখানেই বিজেপি জানিয়েছে, তারা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খরচ করেছে ২৫২ কোটি ২ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৩ টাকা। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি খরচ করেছিল প্রায় ১৫১ কোটি টাকা। বাকি চারটি রাজ্যে মোট খরচ হয়েছিল ১০১ কোটি। এ বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপি।
আসামে ক্ষমতা ধরে রাখতে খরচ করা হয়েছে ৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কেরালা থেকে বামদের সরাতে চেষ্টা করা হলেও খাপ খুলতে পারেনি বিজেপি। এখানে খরচ করেছিল ২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে’র থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় ডিএমকে। বিজেপি মাত্র ২.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে দক্ষিণের রাজ্যে। সেখানে তারা খরচ করেছিল ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। পদুচেরীতে অবশ্য ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা খরচ করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস