জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রউফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজার সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে তার জানাজা হয়। জানাজায় কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে। পরে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক ও ইউপি সদস্য আবদুর রউফের জানাজায় অংশ নিতে দুপুর থেকেই মাঠে জড়ো হতে থাকেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা। জানাজায় ইমামতি করেন স্থানীয় বায়তুল করিম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ আলী।
মুসল্লিরা জানান, জানাজায় স্থানীয়রা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-ছাত্র ও আবদুর রউফের বন্ধু-বান্ধবরা অংশ নেন। সব মিলে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম হয় তার শেষ বিদায়ে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা সেতু হেঁটে পার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় একই গ্রামের এক যুবক লোহার রড দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রউফের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যান ওই যুবক। পরে রউফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা বলছেন, রউফের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম আরিফ।
এদিকে রউফের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে আগুন দেয়। থমথমে অবস্থার মধ্যেই শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে শতাধিক পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সন্দেহভাজন আরিফ ও তার স্বজনদের বাড়িতে আগুন দেয়।
এর আগে ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টা গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষীপুর বাজার এলাকা অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। তারা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা ফেলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।