ডেস্ক:
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করা মানে স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা।
গতকাল যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সাল থেকে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ধাপে ধাপে তিনি জাতির মুক্তির জন্য পথ পরিক্রমা তৈরি করে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। এদেশ আমাদের সকলের।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নীতি সন্নিবেশ করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে নিরাপদে এদেশে ধর্ম পালন করতে পারবে। প্রতিটি ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখতে সকল ধর্মের প্রতি নজর রেখে সকল ধর্ম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক বা ইউটিউবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বিশৃংখলাকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বাসস।