জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
করোনা থেকে দেশবাসীকে সুরক্ষায় ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ডোজ টিকার সংস্থান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকার সংস্থান করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৪ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫ হাজার ১৯০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত শনাক্ত করা ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান ১২ হাজার ৫৯২টি। লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত ও লাইসেন্স দেওয়া চলমান প্রক্রিয়া। ৫৫ জেলা কার্যালয় ও ৮ বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারা দেশে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত দোকান পরিদর্শন করেন। এ ক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। লাইসেন্সবিহীন দোকানের মালিকদের নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিমউদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোবাইল কোর্টে ১ হাজার ৭১৫টি মামলা করা হয়েছে। এতে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। নকল-ভেজাল ওষুধ বিক্রি প্রতিরোধে কঠোর সরকার।