লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আউয়ালের নির্দেশে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীন নামে একজনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু ওরফে শেখ রাসেল হোসেন (২৬) নামে আরেক আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
বুধবার (২৬ মে) দিনগত রাতে পল্লবী সিরামিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গ্রেফতার কালু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহিনুদ্দীন হত্যায় নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক মামলা রয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মে ভোরে ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী আউয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব।
খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক এমপি আউয়ালকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার চার থেকে পাঁচ দিন আগে দুপুর বেলা আউয়ালের কলাবাগান অফিসে তাহের ও সুমন হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সহযোগী হিসেবে আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত ছিলেন।
ঘটনার দিন ১৬ মে বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলে তারা জড়ো হন। তারপর ভিকটিম সাহিন সন্তানসহ ঘটনাস্থলে এলে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে সাহিনকে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যাকাণ্ডের পর সুমন আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে জানান ‘স্যার ফিনিশ’। পরে জড়িতরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন।
চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-ডিবি পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া র্যাব ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই আসামি নিহত হয়েছেন।