আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে প্রবল বর্ষণ ও তার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় ১৭ জন মারা গেছেন, আরও শতাধিক মানুষ হয়েছেন নিখোঁজ। এছাড়া মন্দিরের জন্য বিখ্যাত শহর তিরুপতির বিভিন্ন মন্দিরে বৃষ্টির জন্য আটকা পড়েছে শত শত পূণ্যার্থী।
রাজ্য প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শুধু কাদাপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের, নিখোঁজ ১২ জন। বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর।
পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়, যার জেরে সৃষ্টি হয় হড়পা বানের। তাতেই নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। চেয়ুরু নদীর পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায়।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু কাদাপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। নিখোঁজ ১২ জন। বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর।
তিরুমালা মন্দির জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বহু পুণ্যার্থী সেখানে আটকে পড়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আলিপিরি থেকে তিরুমালা যাওয়ার পথে ধস নামায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা কাদাপা জেলায়। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি এই জেলার উদ্ধার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে ভারতের বিমান বাহিনীকেও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কাদাপা জেলায় হড়পা বানে যাত্রিবোঝাই একটি সরকারি বাস ভেসে গিয়েছে। বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ১২ জন ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ৩০ জন ভেসে গিয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।
তিরুপতি থেকে কাড়াপা যাওয়ার সড়ক এবং রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আলিপিরি থেকে তিরুমালা যাওয়ার পথে ধস নামায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা কাড়াপা জেলায়। বায়ুসেনার বিমান উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল উদ্ধারকাজে নেমেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কাড়াপা জেলায় হড়পা বানে যাত্রিবোঝাই একটি সরকারি বাস ভেসে গিয়েছে। বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ১২ জন ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ৩০ জন ভেসে গিয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। তিরুপতি থেকে কাড়াপা যাওয়ার সড়ক এবং রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শনিবার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিএসডি/এসএসএ