স্পোর্টস ডেস্ক:
পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরটা দারুণই কাটছে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সিরিজ। তবে অধিনায়ক বাবর আজমের সময়টা ভালো কাটছে না মোটেও। দুই ম্যাচ খেলে ফেললেও মোট রানের কোটা দশই পেরোয়নি তার।
তবে সময়টা খারাপ গেলেও একটা রেকর্ড অবশ্য নিজের ঝুলিতে পুরে ফেলেছেন বাবর। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের রেকর্ড।
শনিবার বিকেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেছেন ৫ বলে ১ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। তবে এর আগে যে একটা রান করেছেন সেটাই রেকর্ডটা তার হাতে এনে দিতে যথেষ্ট ছিল।
আগের ম্যাচে ১০ বলে ৭ রান করেছিলেন তিনি। ফিরেছিলেন তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে। তাতেই পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রানের রেকর্ডে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচের এক রানে ছাড়িয়ে গেছেন সেটা।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা এই ব্যাটারের রান সংখ্যা বর্তমানে ২৫১৫। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ৬৫ ইনিংস। আর দুইয়ে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ ২৫১৪ রান করেছেন ১০৮ ইনিংস খেলে। অর্থাৎ, সাবেক পাকিস্তান অধিনায়কের রেকর্ডটা বর্তমান অধিনায়ক ভাঙলেন ৪৪ ইনিংস কম খেলে। তিনে থাকা শোয়েব মালিকের রান ২৪২৩, তিনি এ রান তুলতে খেলেছেন ১১০ ইনিংস।
বাবর এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৪৭.৪৩ গড় নিয়ে। বর্তমানে তার স্ট্রাইক রেট ১২৯.৭৮। তার ঝুলিতে আছে একটি সেঞ্চুরি ও ২৪ টি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস।
পাকিস্তান ওপেনারের এই রানের সিংহভাগই অবশ্য এসেছে চলতি বছর। ২২ ইনিংস খেলে ৮৩৪ রান করেছেন তিনি। চলতি বছর সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। তার সামনে আছেন তারই ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবরের সমান ২২ ইনিংস তার রানসংখ্যা ১০৮৩। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রান ছোঁয়ার কীর্তি একমাত্র এটিই।
পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর আরও ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলবেন বাবর। আর ১৬৬ করতে পারলে এই মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলবেন তিনিও।
বিএসডি/এসএসএ