খুব বেশি দূরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতে চোখ রাখা যাক। জাতীয় ক্রিকেট লিগ থেকে ৭ ক্রিকেটারকে এনে অনুশীলন করানো হলো পাকিস্তান সিরিজের ভাবনায়। অথচ মূল দলে পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়দের জায়গা হয়নি। শেষ মুহূর্তের দলে সাইফ হাসান, আকবর আলী।
আবার হুট করে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর দলের বাইরে সাইফ। ডাকা হলো ইমনকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারকে ঢাকায় উড়িয়ে নিয়েও ম্যাচ খেলানো হলো না, বসিয়ে রাখা হয় সাইড বেঞ্চে। তবে কেন এতো তোড়জোর? ব্যাখ্যা নেই কারও কাছে।
বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড ঘোষণা আর চমক থাকবে না, এমন ঘটনা খুব কমই দেখা গেছে। পেসার রেজাউল রহমান রাজার সঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মাহমুদল হাসান জয়। হঠাৎ দলে ডাক পাওয়া জয়ের বিষয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট? জয়কে দেখা যাবে আগামী ২৬ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টে?
ম্যাচের আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল হককে প্রশ্ন করা হলে টেস্ট দলের এই অধিনায়ক জানালেন, উদ্বোধনী জুটিতে বিকল্প ভাবনায় দলে নেওয়া হয়েছে জয়কে। তবে কি সাইফ হাসান বা নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অভিষেক হয়ে যাবে এই তরুণের?
মুমিমুল বললেন, ‘ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে আমরা আপাতত মাহমুদুলকেই নিয়েছি। যদি খেলে ওপেনার হিসেবেই খেলবে।’
ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ ওপেনিং জুটি নিয়ে অধিনায়কের ভাবনা, ‘বিশ্বকাপে টি-টোয়েন্টি খেলা ছিল, আর এটা টেস্ট। পুরো ভিন্ন ফরম্যাট। তাই এটা নিয়ে আমি চিন্তা করছি না। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির ওপেনাররা পুরোপুরি ভিন্ন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।’
এদিকে চট্টগ্রামে পরিসংখ্যান বরাবরই মুমিনুলের পক্ষে কথা বলে। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১টি শতকের মধ্যে ৭টি পেয়েছেন সাগরিকার পাড়ে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা নিজের সবশেষ ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। নিজের পয়া ভেন্যুতে মাঠে নামার আগে কী ভাবছেন মুমিনুল?
টেস্ট দলের অধিনায়ক বললেন, ‘এসব কখনও মাথায় রাখতে চাই না। সবসময় লম্বা সেশন, ৪-৫ সেশন ব্যাটিং করার লক্ষ্য নিয়ে যাই। অন্যান্য ম্যাচের মত সাধারণ পরিকল্পনাই করি। আগে এতটা সেঞ্চুরি আছে এসব নিয়ে চিন্তা করি না।’
বিএসডি/এসএসএ