নিজস্ব প্রতিবেদক:
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সিনিয়র নেতা ও চিকিৎসকদের সমন্বয়হীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লন্ডনে পলাতক দণ্ডিত তারেক রহমান।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাঠে বিএনপির নেতাদের বক্তব্য ও কাজে অসঙ্গতি রয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নেতাদের সমন্বয়হীনতা নিয়ে বেজায় চটেছেন তারেক। আইন অনুযায়ী, দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার সন্ধান না করে খালেদা জিয়ার বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার দাবির আন্দোলনের সফলতা নিয়ে সন্দিহান তারেক।
সূত্র আরো জানায়, তারেকের কাছে খবর রয়েছে যে, মাঠে গরম বক্তব্য রাখলেও খালেদা জিয়ার নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন না বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এমনকি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বেগম জিয়ার চিকিৎসকরা। মূলত সিনিয়র নেতা ও চিকিৎসকদের সমন্বয়হীতায় তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার প্রস্তাব করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও তারেক রহমান। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র নেতারা সেই প্রস্তাবকে মেনে নিচ্ছেন না। কারণ বিদেশ থেকে চিকিৎসক এলে এতদিনের সাজানো আন্দোলন ভেস্তে যাবে। তাই যেকোনোভাবেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে মরিয়া বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দলের দুই-একজন নেতা সরব হলেও বেশিরভাগ নেতা সুবিধার সুযোগ খোঁজেন। এর ফলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির অপরিপক্বতা ও বিভক্তির বিষয়টি টের পেয়েছে। দলীয় কোন্দলে বেগম জিয়ার করুণ পরিণতিতে চরমভাবে আহত হয়েছেন তারেক রহমান। তাই যারা বেগম জিয়ার বন্দিদশা ও চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা প্রকাশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারেক।
তিনি আরো বলেন, আগামী জাতীয় কাউন্সিলে পদ বাঁচাতে অনেক নেতার মাঝে ভীতি বিরাজ করছে। নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সঠিক পথে হাঁটার সাহসও পাচ্ছেন না বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। তাই নেতৃত্ব বদলের সময় এসেছে। ব্যর্থদের পদে রাখলে আগামীতে দল আরো ভোগান্তিতে পড়বে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চললে দলের পরিণতি হবে ভয়াবহ।