নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গাদের কারণে সংকটে পড়েছে উখিয়া-টেকনাফের জীবনমান। স্থানীয় অর্থনীতির নানা মেরুকরণে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ বিপুল অংকের অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড টিকিয়ে রাখতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে দেশি-বিদেশি কয়েকটি চক্র। তবে পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যাবাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। হাজার একরের বনভূমি ও সবুজ পাহাড় উজাড় করে তৈরি হচ্ছে প্রত্যাবাসন প্রত্যাশীদের থাকার ব্যবস্থা। পরবর্তীতে এসে এক সময় একটি প্রজন্ম হয়তো জানবেই না, এই উখিয়া-টেকনাফের আসল রূপ কেমন ছিল।
কথা ছিলো, সংকট মিটলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে মিয়ানমার, তার আগে থাকবে ক্যাম্পের ভেতর। কিন্তু সস্তা শ্রমে নানা কাজে অংশ নিচ্ছে রোহিঙ্গারা, এতে বিরুপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় শ্রমবাজারে। চিংড়ি, কাঁকড়া, লবণ আহরোনসহ হুমকির মুখে পড়েছে আবাদী জমি ও অর্থনীতি।
গত কয়েক বছরে অপরাধের প্রায় সব শাখায় বিচরণ শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর দেয়া এক বছরের হিসাবই তা প্রমাণে যথেষ্ট। এই সময়ে ইয়াবার কারবার বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। ক্যাম্পগুলোতে বেড়েছে দেশি-বিদেশি অস্ত্রের মজুদ।
এসব অবৈধ কারবারের নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রত্যাবাসনে অনাগ্রহী রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। তবে, গুটিকয়েকের জন্য পুরো জনগাষ্ঠীকে অপরাধী বলা সমীচীন নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সব বাধা কাটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের দেশে ফিরতে চান বাস্তচ্যুতরা। মিয়ানমার সরকারের কাছে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী প্রমাণ করতেই পরিকল্পিতভাবে এসব অপকর্ম করা হচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।
বিএসডি/এসএসএ