বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে গুগলের এআই অ্যাপ
বিদেশিসহ ৬ শতাধিক কয়েদিকে ক্ষমা করলেন ওমানের সুলতান
ঈদের আগে মোট রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই
কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন
গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল র‍্যাব
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
সৎ মা কারিনা ও বাবা সাইফকে বলিউডের সেরা দম্পতি বললেন...
গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭০
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ: করোনা মহামারি সামাল দিতে যখন বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে, তখনই প্রাণঘাতী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাদুর্ভাব জনমনে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। একে দেশটিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশেও এই ফাঙ্গাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। কারণ, করোনার ‘ভারতীয় ধরন’ বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এ ধরন যাতে দেশব্যাপী ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য সতর্ক সরকার।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত ভারত এখন ধুঁকছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ আতঙ্কে। ভয়ংকর ছত্রাকজনিত এই রোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২১৯ জনের।এদিকে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি নতুন আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও চলে এসেছে বাংলাদেশে।এতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুও ঘটেছে। অর্থাৎ করোনা মহামারির এই সংকটকালে মড়ার ওপর খাড়া ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাথমিক  লক্ষণঃ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মিউকোরমাইকোসিস বলে। এটি একটি ছত্রাক যা ছোঁয়াচে নয়। যেসব করোনা রোগী অতিরিক্ত স্টেরয়েড ওষুধ নিয়ে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলেন তাদের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।আর এটি চোখে সংক্রমণ ঘটালে আক্রান্তের নাক বন্ধ হয়ে যায়, নাকে ঘা হয়ে রক্তক্ষরণ হয়, রোগী চোখে ঝাপসা দেখে অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি কমে আসে, চোখের ভেতর থেকে রক্তক্ষরণ হয়, চোখ জ্বালা পোড়া করে, কারো কারো মুখের একদিকে ফুলে যায়, নাক অথবা দাঁতের মাড়ি কালো হয়ে যায়, এক পর্যায়ে কফের সঙ্গে রক্ত যায়, রক্ত বমি হয়, মাথা ব্যথা, দাঁতে ব্যথা ও ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়। ত্বকে কালো দাগ দেখা দেয়।এছাড়া নতুন করে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটে। ফুসফুসের অক্সিজেন ধরে রাখার সক্ষমতা কমে যায় রোগীর। ফলে শ্বাসকষ্ট বাড়ে।সাম্প্রতিক সময়গুলোতে গুজরাট ও দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর লক্ষণগুলো এমনই বলে জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
কীভাবে আক্রান্ত হয়: এ ছত্রাক নাক দিয়ে প্রবেশ করে। নাকে ও চোখে সংক্রমণ বাড়ায়। এমনকি পেটেও আস্তানা গাড়তে পারে এই ফাঙ্গাস।এবং এ ছত্রাক আমাদের পরিবেশে সবসময়েই থাকে। মানুষের শরীরেও সবসময়ে থাকে। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখন এটা রোগ হিসাবে দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, তাদের ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারকেই পরবর্তীতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ।যে কারণে রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে সতর্কতা নিয়ে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন ওষুধে কী ধরণের নির্দেশনা দিয়েছে সেটিও দেখতে হবে। রক্ত, চামড়া, মুখ, নখসহ শরীরের নানা জায়গায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন হতে পারে এবং সাধারণত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।আর যাদের ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস অনেক বেশি, যাদের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ড্যমেজ, এইডসের এর মত জটিল রোগ আছে তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত করলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।  সব করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই রোগ হয় না। শুধু মাত্র যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে, দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে আছে তাদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা গেছে।
এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক থেকে কী করে দূরে থাকা যায়: এসব ছত্রাক পরিবেশে বিশেষ করে মাটি, পচে যাওয়া জৈব পদার্থে (যেমন: পচা ফলমূল, পাতা বা পশুর বিষ্ঠা) ছড়িয়ে থাকে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জীবাণু প্রাকৃতিক ভাবে অরগানিক কিংবা ময়লার মধ্যে থাকেই। তাই এসব থেকে দূরে থেকে সর্বদা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সব সময় পরিষ্কার মাস্ক পরতে হবে, একই মাস্ক বার বার ব্যবহার করা যাবে না। শরীরকে দুর্বল রাখা যাবে না। শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ভিটামিন সি, ডি, ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।অনেক ধূলিকণা যেমন নির্মাণ বা খননকাজের জায়গা, যেখান থেকে ধুলাবালি ছড়িয়ে পড়ছে এমন জায়গা এড়িয়ে চলা, জুতার সঙ্গে মোজা ব্যবহার করা। খালি পায়ে না ঘোরা। ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে দেওয়ালের স্পর্শে না যাওয়া। বাড়ির আঙিনা বা বাগানের কাজে/মাটি খননের সময় জুতা, লম্বা প্যান্ট, লম্বা হাতা শার্ট ও গ্লাভস পরিধান করা। ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পচা মাটি বা ধূলিকণার সংস্পর্শে গেলে সাবান ও পানির সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করা। ব্লাড-সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
হোমিও প্রতিকার: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ওকরোনার যা উপসর্গ তার ভিত্তিতে  চিকিৎসা করলে এই মরণ রোগকে অনেকটাই প্রতিহত করা সম্ভব। আর সেটা করতে হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ।ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ও করোনার প্রাথমিক উপসর্গ  হালকা জ্বর , কাশি ,নিউমোনিয়া,  শ্বাসকষ্ট বা ব্লাডক্লড করে যাওয়ার মত ক্ষেত্রে প্রচুর ওষুধ আছে হোমিওপ্যাথিতে । এক কথায় বলা যায় আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করার ওষুধ যেমন আছে , তেমনি উপসর্গ দেখা দিলে বা করোনা যদি পজেটিভ  হয়, সেসব ক্ষেত্রেই হোমিওপ্যাথিতে ওষুধ আছে ।করোনার  উপসর্গের সঙ্গে খুব মিল আছে সোয়াইনফ্লু-এর । এই সোয়াইনফ্লু নিয়ে চিকিৎসা করে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্র । তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে করোনার সব স্টেজে লড়াই করার যথেষ্ট ওষুধ আছে । তবে সবার আগে করতে হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল । কারণ আমাদের দেশে বহু মানুষ আক্রান্ত ।তাঁদের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না । তাই করোনাকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভীষণ জরুরি এবং অত্যাবশ্যক ।
ডা.এম এম মাজেদ এর দাবি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ইতিহাস অনুযায়ী, অতীতের মহামারী যে বাবে হোমিওপ্যাথিতে  প্রতিরোধ  সম্ভব হয়েছে সেই বর্তমান করোনা মহামারী ওব্ল্যাক ফাঙ্গাস  ও প্রতিরোধ সম্ভবঃ- বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী থাকলেও হঠাৎ করে তা বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে মহাসংকটের নাম কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাস, যা বিশ্বমহামারীর আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই এ ভাইরাসে আক্রান্ত।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার মেডিসিন ও ভ্যাক্সিন নিয়ে কাজ ও গবেষণা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কার্যত সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি। পৃথিবীর কোন চিকিৎসা পদ্ধতিই এ চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্য বয়ে আনতে পারেনি।আবার বর্তমানে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এমতাবস্থায় আশার আলো দেখাইতে পারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ইতোমধ্যে ইতালি, স্পেন, কিউবা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে অতি দ্রুততার সঙ্গে বহু করোনা রোগী সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেছেন গত বছর ২০ সালে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগ করে এমনি একটি আশানুরূপ নজির স্থাপিত হয়েছে পুরান ঢাকার স্বামীবাগে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে। মাত্র ৭ দিনের হোমিও ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ হয়েছেন ইসকন মন্দিরের পুরোহিতসহ ৩৫ জন করোনা রোগী। এ মন্দিরের করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়ার পেছনে হোমিওপ্যাথির সাফল্যটি যদি আমরা পরীক্ষামূলক হিসেবেও গ্রহণ করি, তাহলে পরবর্তীতে দেখা যায় ঢাকার রাজারবাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হসপিটালের করোনা ওয়ার্ডের ৪২ জন রোগী শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই। যা সম্পূর্ণ কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রূপেই প্রতীয়মান হয়েছে।  এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই স্বল্প খরচে হোমিও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন। করোনা সংক্রমণের ফলে রোগীর যেসকল লক্ষণ উপসর্গ ও নিদানিক বৈকল্য দেখা দেয় তার প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লাক্ষণিক হোমিও চিকিৎসাই যথেষ্ট হয়।
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ইতোমধ্যেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। ফল স্বরূপ আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ বিভাগ হোমিও সেবা গ্রহণ করছেন এবং সুস্থও হচ্ছেন।করোনা সংক্রমণের শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়েই নয় বরং একেবারে চরম পর্যায়ে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায়ও হোমিও চিকিৎসার সক্ষমতা রয়েছে। যেহেতু করোনা সংক্রমণের কোন পর্যায়ের চিকিৎসাই প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা নির্ণায়িত হয়নি, এমতাবস্থায় এসব রোগীর চিকিৎসায় লক্ষণ ভিত্তিক হোমিও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীর জীবন রক্ষা করার পাশাপাশি রোগীর স্বাস্থ্য পুনর্বাসনে সহায়তা করা যেতে পারে।করোনা মোকাবেলায় হোমিও চিকিৎসকগণ লক্ষণ সদৃশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন- যুগে যুগে মহামারিতে হোমিও চিকিৎসার সাফল্যগাঁথা রয়েছে বিশ্বময়। ১৭৯৯ সালে জার্মানিতে স্কারলেট ফিভার মহামারিতে হোমিও চিকিৎসা করে ড. হ্যানিম্যান সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ১৮১৩ সালে টাইফাস ফিভার মহামারিতে হোমিও চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ১.১১ শতাংশ, যেখানে অন্যান্য চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৩০ শতাংশ। এছাড়া ১৮৩১ সালে অস্ট্রিয়ার কলেরা মহামারি, ১৮৪৯ সালে সিনসিনাটির কলেরা মহামারি, ১৮৫৪ সালের লন্ডনের কলেরা মহামারি, ১৮৬২-১৮৬৪ পর্যন্ত নিউইয়র্ক ডিপথেরিয়া, ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু, ২০১৮-২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ আরও অনেক মহামারিতে হোমিও চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য সফলতা রয়েছে।এত এত সফলতার পরেও প্রচার প্রসার ও সুযোগ সুবিধা কম থাকার দরুন সেভাবে হোমিও চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করা ব্যাপকভাবে সম্ভব হয় না বা হচ্ছেও না।মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি এ বিষয়ে সুদৃষ্টি জ্ঞাপন করেন তাহলে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভবপর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সুদৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, যদি সেন্ট্রাল পুলিশ হসপিটালের ন্যায় প্রতিটি হসপিটালে হোমিওপ্যাথিক করোনা ইউনিট চালু করা হয়, তাহলে এ সংকটময় পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করা আরও অনেক সহজতর হবে।
হোমিও সমাধান: হোমিওপ্যাথি হলো একটি লক্ষণভিত্তিক প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। ডা. স্যামুয়েল হানেমান এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তক। তিনি ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তন করেন এবং ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি সফলতার সঙ্গে এই চিকিৎসাকার্য পরিচালনা করেন।আমরা জানি, করোনা ভাইরাস একটি ভাইরাস-ঘটিত সংক্রমণ। কাজেই প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা এর আরোগ্যকারী চিকিৎসা প্রদানে অক্ষম। তারা ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্যবিধি, কোয়ারেনটাইন ইত্যাদি উপায়গুলোর পূর্ণ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপারটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করবে। তাদের সে সক্ষমতাও আছে এবং হয়তো সে আন্তরিকতাও আছে। কিন্তু তাদের আরোগ্যকারী চিকিৎসা দিতে না পারার জন্য নিজেদের মধ্যে থাকা অন্তর্নিহিত দুর্বলতা থাকাটা অবধারিত। আর সাধারণ মানুষের প্যানিক হওয়াটা যে স্বাভাবিক – সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না আর হোমিওপ্যাথি হলো রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়,এই জন্য এক জন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর রোগের পুরা লক্ষন নির্বাচন করতে পারলে, করোনা ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস  ভাইরাস হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব  এবং এক যোগে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল  কলেজ হাসপাতাল ও সারা বাংদেশে ৬৪ টা হোমিও কলেজ, এবং সকল রেজিস্টার্ড পাপ্ত চিকিৎসক গন করোনা রোগীর রোগের লক্ষণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে, অনুরূপ লক্ষণে হোমওপ্যাথি ঔষধ, একোনাইট ন্যাপ,ইনফ্লুয়েঞ্জিনাম, আর্সনিক এ্যালবাম, বেলাডোনা, ব্রাইয়োনিয়া, জেলসিমিয়াম, ড্রসেরা, কার্বোভেজ, সহ আরো অনেক ঔষধ রোগীর রোগের লক্ষণের উপর আসতে পারে।  তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ  নিতে হবে, পরিশেষে এই  বর্ষার মৌসুমে  ঘোরাঘুরি, যেকোনো রকম জনসমাগম, করতেই হলে সীমিত পরিসরে অল্পসংখ্যক মানুষকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে  হবে।আর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে জনমনে যেন আতঙ্ক সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রচারণা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে।
লেখক: কো-চেয়ারম্যান , হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা  ও  প্রশিক্ষণ  কেন্দ্র 
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
মোবাইল: ০১৮২২৮৬৯৩৮৯
ইমেইল- drmazed689@gmail. com
০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
কলাপাড়ায় স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবিতে মানববন্ধন
পরের পোস্ট
খেলাপির ‘অভিশাপ’ থেকে মুক্ত হতে চলছে ঋণ অবলোপন

সম্পর্কিত পোস্ট

ওজন বাড়ছে না? জেনে নিন ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর...

জুন ১, ২০২৫

নতুন বছরের রেজোলিউশনে লেগে থাকার ৫ উপায়

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না? জেনে নিন কী...

নভেম্বর ২২, ২০২৪

ওজন কমাবে এক চামচ মৌরিদানা

নভেম্বর ২২, ২০২৪

থাইরয়েডের জন্য ৬টি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

অক্টোবর ২২, ২০২৪

ফাইবার সমৃদ্ধ যে খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত

অক্টোবর ২১, ২০২৪

যেসব শুকনো ফল ইউরিক অ্যাসিড কমায়

অক্টোবর ১৪, ২০২৪

পেঁপের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না যে ৩ খাবার

অক্টোবর ১৪, ২০২৪

এই ৫ দক্ষতা আপনাকে সমৃদ্ধ করে তুলবে

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪

হৃদরোগে আক্রান্ত, ইলিশ মাছ খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য...

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English