রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গুজরাটের স্বাস্থ্য কমিশনার জয় প্রকাশ শিবহরি ওই ব্যক্তির অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে আসার পর যেখানে অবস্থান করেছেন, সেটিকে একটি ছোট আকারের সংক্রমণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুজরাটের কর্মকর্তারা এখন তাঁর সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত ও পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি মনোজ আগারওয়াল বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রেখেছি এবং তাঁকে নজরে রেখেছি। তিনি যেখানে থাকছেন, সেই এলাকাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত করা হয়েছে। সেখানকার লোকজনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষার আওতায় আনার কাজ চলছে।’
ভারতে আরও যে দুই ব্যক্তি অমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের একজন বেঙ্গালুরুর ৪৬ বছর বয়সী চিকিৎসক। এর আগে করোনার দুই ডোজ টিকাই নিয়েছেন তিনি। দেশের বাইরে ভ্রমণের ইতিহাস তাঁর নেই। তাঁর জ্বর ও শরীরে ব্যথার উপসর্গ ছিল। তৃতীয় ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে সম্প্রতি ভারতে আসেন তিনি।
ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় সরকার বাইরের দেশ থেকে আসা সবার করোনা পরীক্ষা ও তাঁদের নজরদারিতে রাখার পদক্ষেপ জোরদার করেছে; বিশেষত যাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে আসছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ সক্ষমতা ও ভয়াবহতা নিরূপণ এবং এ ধরনের বিরুদ্ধে বর্তমান চিকিৎসাপদ্ধতি ও টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
তবে ওমিক্রন ধরনটি করোনা মহামারি থেকে বিশ্ববাসীর কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা ও আস্থায় এরই মধ্যে চিড় ধরিয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫টি দেশে এটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল