নিজেস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ইউপি ভবন থেকে আসবাবপত্রসহ দরজা ও জানালার পর্দা খুলে নিয়ে গেছেন সাবকে চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু।
আজ শনিবার বিকেলে এসব আসবাবপত্র তিনি পরিষদ ভবন থেকে বাড়িতে নিয়ে যান।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে চেয়ার, টেবিল, টিভি, এসি, দরজা-জানালার পর্দা, সোফা, র্যাক ইত্যাদি বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসান ফিরোজ টিংকুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন।
হাসান ফিরোজ টিংকু বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু আসবাব বাসায় এনেছি। কিন্তু, আমি যেসব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছি তা আমার নিজস্ব টাকায় কেনা। এগুলো পরিষদের নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় আমার নিজস্ব অর্থায়নে কেনা অনেক চাল, ডাল পরিষদে আছে। আমার লোকজন সেগুলো আনতে গেলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দিয়েছেন। কিন্তু, এগুলো সরকারি টাকায় ক্রয় করা না। আমার নিজস্ব টাকায় ক্রয় করা।’
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘টিংকু নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পরিষদের আসবাবপত্র নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। যা কোনো সভ্য মানুষের কাজ নয়।’
পরাজয়ের প্রতিহিংসা থেকে টিংকু এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন।
কায়রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু জাফর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান টিভি, এসি, সোফাসেটগুলো নিজের টাকায় কিনেছিলেন বলে আমি জানি। তবে, অন্যান্য বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন হাসান ফিরোজ টিংকু। কিন্তু, চলতি বছরের ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কাছে পরাজিত হন।
বিএসডি/ এসএ