স্পোর্টস ডেস্ক:
তিনি ইতিহাসেরই সেরা কিনা, এমন প্রশ্ন হরহামেশাই ওঠে। তিনি যে সময়ের সেরা সে প্রশ্নের জবাব কিছুদিন আগেই দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল, তার হাতে তুলে দিয়েছে সপ্তম ব্যালন ডি’অরের ট্রফি।
তার ব্যালন জয়ের পরই অবশ্য একটা ভিডিও আবারও চলে এসেছে সামনে। বহু বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলছিলেন, ‘ব্যালন ডি’অর একটা স্বপ্নের মতো। অনেক অনেক পরিশ্রম করলে একসময় না একসময় হয়তো সেটা আমি জিততে পারব।’
মেসির সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে অনেক আগেই। ২০০৯ সালে প্রথম জয়ের পর আরও ছয়বার জিতে ইতিহাসও গড়েছেন তিনি। তাতেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে সর্বকালের সেরার তালিকায় তার অবস্থান সবার ওপরে কিনা, তা নিয়েও। তবে এমন কিছু একসময় কল্পনাতেও আনতে পারেননি মেসি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি।
আর্জেন্টাইন মহাতারকা বললেন, ‘আমি শুধু সেরাই হতে চেয়েছি। আমি ইতিহাসের সেরা, এমনটা কখনও বলিনি, ভাবিওনি। আমি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কিনা, সে আলোচনায় বিবেচিত হচ্ছি, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। যদিও এমন কিছু কখনো কল্পনাও করিনি আমি।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে মেসি ছিলেন দারুণ ড্রিবলার, গতিতে ছিটকে ফেলতেন সময়ের সেরা ডিফেন্ডারদেরও, গোলস্কোরিং ক্ষমতাও ছিল প্রশ্নাতীত। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রতিপক্ষ কোচরাও তাকে থামানোর কৌশল বের করেছেন খুঁজে পেতে।
তবে মেসিও কম যাননি। ফ্রি কিকের কার্যকরিতা বাড়িয়েছেন, শান দিয়েছেন প্লে-মেকিং দক্ষতাতেও। গোলস্কোরিং ক্ষমতা তো আগে থেকেই ছিল। সব মিলিয়ে নিজেকে যত রকমে নিখুঁত করা যায়, মেসি করেছেন। বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা।
আক্ষেপ ছিল আর্জেন্টিনা দলের হয়ে শিরোপা জয়। সে আক্ষেপটাও ঘুচে গেছে গেল জুলাইয়ে। দেশের ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা।
কীভাবে নিজেকে এমন করে গড়েছেন মেসি? সে প্রশ্নের উত্তরে মেসি জানালেন, জয়ের তীব্র ক্ষুধা তাকে আজকের মেসি বানিয়েছে। বললেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিষয়টা আমার ভেতর ছিল। আমি তখন থেকেই জিততে পছন্দ করতাম। হারটা কোনো সময়ই সইতে পারিনি। সে স্বভাবটা এখনো যায়নি আমার, এখনো প্রতিটি ম্যাচ জিততে চাই আমি।’
বিএসডি/এসএফ