বিনোদন ডেস্ক:
প্রায় কাছাকাছি সময়েই দুজন চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। বহু সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেসব সিনেমা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। কাজ করতে করতেই হয়ে উঠেছিলেন তারা ভীষণ ভালো বন্ধু। একজন আজ পৃথিবীতে নেই। অন্যজন তাকে স্মরণ করলেন জন্মদিনের শুভেচ্ছায়।
বলছি ঢাকাই সিনেমার দুই অভিনেতা অকাল প্রয়াত শাহিন আলম ও অমিত হাসানের কথা। রোগে ভুগে মারা গেছেন শাহিন আলম। আজ তার জন্মদিন। এদিনে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন অমিত।
চলতি বছরের ৮ মার্চ ১০টা ৫ মিনিটে মারা যান শাহিন আলম। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
শাহিন আলম ১৯৬২ সালের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন। অভিনয় করতেন মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে এফডিসির নতুন মুখের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে পা রাখেন সিনেমায়। তখনই নজরে পড়েন ‘বে-দ্বীন’খ্যাত নির্মাতা এস এম শফির। তিনি তার স্বপ্নের প্রকল্প ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে মাসুদ রানা হিসেবে নির্বাচিত করেন শাহিন আলমকে। এই ছবির কাজ পরে এগোয়নি।
১৯৯১ সালে তার অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর একসঙ্গে ৭টি ছবিতে সাইন করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আলিফ লায়লা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি।
মৃত্যুর অনেক আগে থেকেই সিনেমাকে বিদায় বলেছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি জটিল কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
বিএসডি/জেজে