নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকায় বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বগুড়ার শেরপুরে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিএনপি সমর্থিত আট সাবেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাক, বাস ও মাইক্রোবাস মহাসড়কের মধ্যে আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ এসে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো অপসারণ করলে প্রায় দুই ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম জানান, গাড়ি কেটে দুর্ঘটনায় আহত শুধু দুই চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্পটে কাউকে পাওয়া যায়নি; তাই তাদের রেকর্ডে আহতের সংখ্যা দুইজন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আহতের সংখ্যা ১৫ জন।
আহত বিএনপি নেতারা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, সোনাতলা উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একেএম তৌহিদুল আলম মামুন, সারিয়াকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মণ্ডল, গাবতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল, আদমদীঘি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মুহিত তালুকদার ও নন্দীগ্রাম উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম।
ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একেএম তৌহিদুল আলম মামুন জানান, চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সোমবার সকালে ঢাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের মানববন্ধন কর্মসূচি আহবান করা হয়। এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে তারা রোববার রাতে আট নেতা মাইক্রোবাসে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
তিনি জানান, রাত ১১টার দিকে তারা বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় মহাসড়কে পৌঁছেন। এ সময় রংপুরগামী একটি বাস ও ঢাকাগামী সবজি বোঝাই ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে তারা আট নেতা ও মাইক্রোবাস চালক সুজন মিয়া আহত হন। তাদের মধ্যে আলী আজগর তালুকদার হেনাকে বগুড়া ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হেনা ও আবদুল মুহিত তালুকদার ছাড়া অপর ছয়জন সোমবার ঢাকার কর্মসূচিতে অংশ নেন।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম দুর্ঘটনার পরপরই ‘আহতরা’ চলে যান। মাইক্রোবাস ও ট্রাক কেটে দুই চালককে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্পট ও হাসপাতালে কাউকে না পাওয়ায় তাদের হিসাবে আহতের সংখ্যা দুইজন। দুর্ঘটনার পরে মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল