নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য না পাঠিয়ে সরকার তার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, দেশের সর্বত্র একযোগে দাবি উঠেছে— বিদেশে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। জনগণের দাবিকে এই সরকার তোয়াক্কা করছে না। বরং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর যে কথা, সেই কথার মধ্যে কোনো মনুষত্ববোধ আছে, তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচতলায় জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। ১৯৭১ সালে যেমন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, তেমনি এখন আবার একটি যুদ্ধ করে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই সবার প্রতি আহ্বান থাকবে— সেই যুদ্ধে আপনারা শামিল হবেন। এ যুদ্ধ বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের স্বার্থে নয়; এই যুদ্ধ জীবনযুদ্ধ, দেশবাসীকে মুক্ত করার যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। এ সরকার দুর্নীতিবাজ, অমানবিক, দানব, নির্যাতনকারী, লুটপাটকারী, অর্থপাচারকারীদের সরকার। এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাই বিএনপির দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে সেই দায়িত্বটা পালন করি।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে গয়েশ্বর রায় বলেন, এ সরকারের কাছে আইনের শাসন আশা করা যায় না। ন্যায়সঙ্গত কোনো দাবিও এ সরকার মানবে তাও আশা করা যায় না। বিচার বিভাগের কাছেও সুবিচার আশা করা যায় না। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারকে সরিয়ে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। এ সময় অসহায় দুস্থদের মাঝে চার শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।
বিএসডি/এসএফ