স্বল্প ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোকে করোনা টিকা সহায়তা দিতে এক বছর আগে ‘কোভ্যাক্স’ নামে একটি প্রকল্প খুলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং টিকা সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভি অ্যালায়েন্স।
তবে প্রকল্প চালু করার প্রাথমিক পর্যায়ে দরিদ্র দেশগুলোতে যে পরিমাণ টিকা সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, এক বছরে তার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি কোভ্যাক্স। তার প্রথম কারণ- বরাবরই চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টিকার ডোজের সংকটে ভুগেছে কোভ্যাক্স এবং দ্বিতীয় কারণটি হলো- উন্নত দেশগুলো এই প্রকল্পে তাদের মজুত থেকে যেসব টিকার ডোজ দিচ্ছে- সেগুলো বড় অংশ অল্প সময়ের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
অর্থাৎ, গণটিকাদান কর্মসূচীতে ব্যবহারের জন্য কেনা যেসব টিকা শেষ পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি এবং দীর্ঘসময় পড়ে থাকার কারণে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে- এমন সব ডোজই কোভ্যাক্সে দান করছে অনেক ধনী রাষ্ট্র।
ফলে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকার ডোজ পাঠিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ডোজ পৌঁছানোর পর তা টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করার আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন বিভাগের পরিচালক কেট ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার জেনেভায় ডব্লিউ এইচ ও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে কোভ্যাক্সের এসব সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পাঠিয়েও আফ্রিায় টিকাদান পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না; এবং তার একটি বড় কারণ, দেশগুলোতে টিকার চালান পাঠানোর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে নাইজেরিয়ার উদাহারণ টেনেছেন ডব্লিউেএইচওর এই কর্মকর্তা। গত মাসে কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে ১০ লাখ ডোজ করোনা টিকা পাঠানো হয়েছিল নাইজেরিয়া; কিন্তু এই টিকাগুলো নাইজেরিয়ায় পৌঁছানোর দু’-তিনদিনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় টিকার দুই ডোজ।
সূত্র: রয়টার্স
বিএসডি: এলএল