নিজস্ব প্রতিবেদক:
কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে খুলনা বিএনপিতে। প্রায় এক যুগ পর নগর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন তৃণমূল বিএনপিতে একচ্ছত্র ক্ষমতাধর নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু। জানা যায়, ২০০১-০৬ মেয়াদে খুলনা-২ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন মঞ্জু। ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে সভাপতি করা হয়। এরপর টানা ১২ বছর একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের প্রয়োজনে কখনো সিটি করপোরেশন আবার জাতীয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন মঞ্জু। ৯ ডিসেম্বর কেন্দ্র ঘোষিত আংশিক কমিটিতে হঠাৎ করেই তাকে সরিয়ে নগর আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মনাকে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল দুপুরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু তার ফেসবুক আইডিতে ‘রক্তের দাগ শুকানোর আগেই আমরা অযোগ্য ঘোষিত হলাম। আমরা স্তম্ভিত, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ’ এ স্টাটাস দেওয়ার পর সংগঠিত হতে শুরু করেছে তার সমর্থিত কর্মীরা। মঞ্জু বলেন, ‘চার বছর ঢাকায় বসেছে দুই নেতার নানা ষড়যন্ত্রের বৈঠক। বিকল্প বিএনপি তৈরি করে প্যারালাল কর্মসূচি পালনের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে। দল প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরে যারা ৪৪ দিন খুলনায় আসেনি, তারা চায় খুলনা বিএনপির কর্তৃত্ব। আমরা আমাদের ধ্বংস চেয়ে চেয়ে দেখব না। রাজনৈতিক কর্মীরা সত্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নামবে।’ তিনি বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে খুলনা বিএনপিতে ঘটে যাওয়া সব বিষয় উপস্থাপন করা হবে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিবাদী কর্মসূচি দেওয়া হবে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়লে মঞ্জু সমর্থিত নেতা-কর্মীরা পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তারা বলছেন, সাবেক দুই ছাত্রনেতা যারা বিগত সংসদ নির্বাচনে খুলনা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তারাই নেপথ্যে থেকে বিতর্কিত কমিটি দিয়েছেন। যাতে অনুসারীদের পদ-পদবি দিয়ে তাদের আধিপত্য বজায় থাকে। গতকাল খুলনায় টক অব দি টাউন ছিল ‘মঞ্জুবিহীন খুলনা বিএনপি’। তবে আহ্বায়ক কমিটিতে জায়গা পাওয়া নেতারা বলছেন- ঐক্যবদ্ধভাবে তারা কাজ করতে চান। মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, দলের দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় নেতৃত্বের বিকাশ হয়নি। তবে নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে নেতা-কর্মীর মধ্যে প্রাণ ফিরেছে। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। নানা কারণে মান-অভিমানে যারা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন তাদের দলে ফেরাতে চাই।
বিএসডি /আইপি