মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, গলাচিপা: জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৭তম ব্যাচ (বিসিএস) এর হীরক কুমার দাস এর অকাল মৃত্যুতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের নীর্বাহী কর্মকর্তা জনাব আশিষ কুমার এবং মোঃ নজরুল ইসলাম সহকারী কমিশনার ( ভূমী) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, মেধাবী, দেশ প্রেমী এবং চৌকোষ সরকারি কর্মকর্তা হীরক কুমার তিনি গত ২৯’শে মার্চ কোভিট১৯ এর আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন হোমকোয়ারেন্টইনে থাকার পরে ২’রা এপ্রিল সুস্থ্য অনুভোব হলে পুনোরায় তার নিজ কর্মস্থল জামালপুর জেলা প্রাশাসক কার্যালয়ে ট্রেজারি এবং শিক্ষা দপ্তরের নিয়োমিত কর্মব্যস্ততায় ছিলেন এ কর্ম প্রেমী হীরক কুমার দাস। তখনো বুঝে উঠতে পারেনি ঘাতক কোভিট১৯ লুকিয়ে ছিলো তার শরীলে।
পরিবার এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে জানা যায় ৩১ মে ২০২১ইং সোমবার বরাবরি’ই কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরলে বিকেলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট অনুভোব হলে ঐ দিনেই রাত সারে আটটার সময়ে পরিবারের লোলজন জামালপুর ২৫০ শয্যা সরকারী হাসপালে নেয়া হলে রাত সারে দশটার সময়র তিনি মৃত্যর কোলে ঢলে পরেন হীরক কুমার দাস।
এদিকে তার এই অকাল মৃত্যকে কোন অভাবে মেনে নিতে না পেরে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে রাজশাহী বিভাগের দিনাজপুর সদর এর বাসিন্দাশূন্য তার বাবা ফরেন্দ্র নাথ দাস, মা গীতা রানী দাস। অন্যদিকে মৃত হীরক কুমারের তিন মাসের অন্তস্বত্বা স্ত্রী এক ছেলেকে নিয়ে পাগলের মতো হয়ে বার বার সৃতিভ্রষ্ট হচ্ছেন।
পরিবার থেকে জনা যায়, ১ জুন মোঙ্গলবার নিজ এলাকার দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় শষানে হীরক কুমারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সসম্পন্ন হয়।
তার এই অকাল মৃত্যুতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নীর্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার এবং মোঃ নজরুল ইসলাম সহকারী কমিশনার (ভূমী) সহ প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী বৃন্দরা গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোক প্রকাশে আশিষ কুমার এবং মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমরা দেশের আরো একটি রত্ম হারালাম। তারা আবেগপ্লুত হয়ে বলেন, কোভিট১৯ এর কারনে আমরা এক চৌকোষ মেধাবী এবং দেশ প্রেমী সরকারী কর্মকর্তা হীরক কুমারকে হারালম। তার এই অসময় না ফেরার দেশে চলে যাওয়াটা আমারদের জন্য অসুনো সংকেত। সর্বপূরী হীরক কুমারের শোকাহত পরিবারের মাঝে সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকলকেই কোভিট১৯ এর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।