বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে বলছে, অসময়ের বৃষ্টি ২০ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ওই বৃষ্টিতে ১০ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির খেসারি, ১০৬ হেক্টরের শীতকালীন শাকসবজি, ৫৩৩ হেক্টরের শর্ষে, ২০৬ হেক্টরের মসুর,৩৫ হেক্টরের গম, ১৫১ হেক্টরের আলু, ৬ হেক্টর তরমুজ এবং ৭৫ হেক্টরের বোরো বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা।
তবে মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা বলেছেন, বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসাবের চেয়ে আরও বেশি। বিশেষ করে আমন ও খেসারির বেশি ক্ষতি হয়েছে। বরগুনার তালতলী উপজেলার মনুখেপাড়া গ্রামের কৃষক মজিবর শরীফ শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘মুই দুই একর জমির মোটা আমনখেত সব শ্যাষ। একমুট ধানও ঘরে নেতে পারমু না। পাকা ধানের গাছ সব হুইয়্যা পড়ছে। সব ধান খইরাইয়্যা (ঝরে) গ্যাছে।’
আবদুল আজিজ মুসুল্লি নামের একই এলাকার আরেক কৃষক বলেন, ‘আমার তিন একর জাগার আমন খ্যাত সব শ্যাষ। এমন ক্ষতির মোহে পড়মু বোঝতে পার নাই।’
শুধু বরগুনা নয়, বিভাগের অন্যান্য জেলার আমন ও অন্যান্য ফসলও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এই অকাল বর্ষণে
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আমজেদ সিকদার, রিয়াজ সরদারের খেতের অবস্থাও এমন। আমনের খেতের সব ধানগাছ শুয়ে গেছে। রিয়াজ বলছিলেন, ‘সামান্য কিছু জমির ধান কাটতে পারছিলাম। বৃষ্টি-বাতাসে সব গাছ নুইয়্যা পড়ছে। এহন সব ধান চিডা (চিটা) অইয়্যা যাইবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম বলেন, ‘অকাল বর্ষণে আমন ধান এবং খেসারি বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা চূড়ান্ত যে হিসাব মাঠপর্যায় থেকে পেয়েছি, তাতে আর্থিক হিসাবে ৯০ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল