নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ-জাতির কল্যাণ ও পরকালের শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ইজতেমা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর পৌনে ১টার দিকে। মোনাজাত হয় বাংলায়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী হযরত আব্দুল্লাহ সাহেব। এর আগে বাদ ফজর মজমা জোড়ানো বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মুফতি নিজাম উদ্দিন। পরে হেদায়েতি বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মুফতি ওয়াসিক।
মুসলিম উম্মার অন্যতম এই জমায়েতে অংশ নিতে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা শরিক হয়েছিলেন ইজমেতায়। হাজারো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত ইজতেমা ময়দান। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। মাঠ ছাড়িয়ে রাস্তা-ঘাট ও আশপাশের বাড়ির আনাচে-কানাচে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন বসে পড়েছেন মোনাতাজে অংশ নিতে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের এই আগমন অব্যাহত ছিল।
আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিরা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনায় দুই হাত তুলে কান্নাকাটি করেন। ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলিম উম্মার ঐক্য ও শান্তি কামনা করেন মুসল্লিরা। মোনাজাত শেষে জামাতের লোকেরা ইসলামের দাওয়াতি কাজে ছড়িয়ে পড়েন দেশজুড়ে।
প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজের পর দেশ ও বিদেশের মুরুব্বিরা বয়ান পেশ করেছেন। ইজতেমায় বেশির ভাগ বয়ান বাংলা ভাষায় করা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশি মুরুব্বিরা আরবি ও ইংরেজি ভাষায় বয়ান করেছেন। সেগুলো দোভাষীর সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করে মুসল্লিদের শোনানো হয়েছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ন কবির জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হয়েছে। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এই ইজতেমা থেকে ৫৪ টি জামাত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাওয়াতি কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তিন দিনব্যাপী ৪৩তম ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। ইজতেমা ময়দানে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিএসডি / এলএল