প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় বাংলাদেশের রাজধানীর বায়ু ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, তৃতীয় স্থানে ভারতের কলকাতা ও চতুর্থ ভারতেরই আরেক শহর দিল্লি।
এদিকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া উত্তরাঞ্চল পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক স্থানে হাড়কাঁপানো শীত টের পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে পারদ ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ইতিমধ্যে শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা চলে এসেছে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায়ও তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি চলে এসেছে। রোববার তেঁতুলিয়ায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা চলে আসতে পারে। আর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে এক থেকে দুই ডিগ্রি। এ সময়ে দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। এরপর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ তীব্রতা পেতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ যখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন দেশে শীতের তীব্রতা বাড়ে। এটি এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডিসেম্বরের বাকি সময়জুড়ে শীত ক্রমেই বাড়তে থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রোববার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশে রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যার পর শীত নামতে থাকে। গত এক দিনে রাজধানীর তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এদিন চট্টগ্রাম বিভাগ ছিল কিছুটা উষ্ণ। সেখানকার তাপমাত্রা ১৭ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
এ ছাড়া তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার আগে এবার শীতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত ২৮ নভেম্বর। ওই দিন শ্রীমঙ্গলে ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।