বিদায়টা স্বপ্নের মতো হতে পারত। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে কোচ পেপ গার্দিওলা হঠাৎ করেই নিজের পরীক্ষিত উপায়ে আস্থা হারিয়ে বসলেন। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির একাদশ আর কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেতে বিসর্জন দিয়েছেন ইউরোপ-সেরা হওয়ার স্বপ্ন। আর্জেন্টাইন তারকা সের্হিও আগুয়েরোর ১০ বছরের সিটি-অধ্যায় তাই শেষ হয়েছে একটি অতৃপ্তি নিয়েই।
সিটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় আগুয়েরোর অবশ্য আরেকটি স্বপ্ন অবশ্য পূরণ হয়েছে। বার্সেলোনার হয়ে খেলার লালিত স্বপ্নটা এবার পূর্ণ হয়েছে তাঁর। নিজের স্বপ্নপূরণের পর এখন সিটি থেকে বিদায় নেওয়ার পালা। গতকাল ৩৩ পূর্ণ করা আগুয়েরো নিজের বিদায়বেলাটা স্মরণীয় করে রাখলেন অন্য উপায়ে। ৩০ জুন পর্যন্ত কাগজে-কলমে সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আগুয়েরো বিদায়বেলায় ক্লাবের কর্মীদের সবাইকে দিয়েছেন মনে রাখার মতো সব উপহার।
ম্যানচেস্টার সিটির সর্বকালের সেরা গোলদাতা হিসেবেই ক্লাব ছাড়ছেন। প্রিমিয়ার লিগে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও নিজের শেষ ম্যাচে দখলে নিয়েছেন ওয়েইন রুনির কাছ থেকে। শুধু ফুটবলীয় কারণেই তাঁকে ভোলা অসম্ভব সিটি-সমর্থকদের। ক্লাব কর্মীদেরও যেন তাঁর কথা মনে রাখেন সব সময়, সে ব্যবস্থাও নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
বিদায়ী উপহার হিসেবে সিটির মূল স্কোয়াডের সঙ্গে কাজ করেন এমন সব কর্মীকে হাতঘড়ি উপহার দিয়েছেন। ৬০ জনের বেশি কর্মীকে বিখ্যাত ট্যাগ হয়্যার ব্র্যান্ডের ফর্মুলা ওয়ান ডিজাইনের ঘড়ি উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশি মূল্যবানে এই ঘড়িগুলোর মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি। প্রতিটি ঘড়ির পেছনে নিজেকে মনে রাখার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন এক বার্তায়, ‘ধন্যবাদ! কুন আগুয়েরো।’
আগুয়েরো অবশ্য মূল চমকটা দেখিয়েছেন অন্যভাবে। তাঁর ৫০ লাখ টাকা মূল্যের রেঞ্জ ওভারটাও সিটির কর্মীদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। তবে নির্দিষ্ট কাউকে দিয়ে অন্যদের মন খারাপ করার ইচ্ছা হয়নি। তাই আয়োজন করেছেন এক র্যাফল ড্রর। সবাইকে একটা করে টিকিট দিয়েছেন এবং সে টিকিট থেকে র্যাফল ড্রর মাধ্যমে গাড়িটির মালিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া স্কোয়াডের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন কর্মীদের আর্থিক সাহায্যের জন্য চাঁদা তুলেছিলেন সিটির খেলোয়াড়েরা। সেখানেও সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল আগুয়েরোর।