বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:
যাঁরা ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছে ভাইরাস এক মূর্তিমান আতঙ্ক। তবে অন্য কারণেও প্রিয় ল্যাপটপ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে চাই সচেতনতা ও নিয়মিত ল্যাপটপের পরিচর্যা।
বর্তমানে ইন্টারনেটে কিছু ভুয়া অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আছে, যেগুলো মূলত ভাইরাস। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় হঠাৎ করে হয়তো কোনো বার্তা দেখবেন, আপনার কম্পিউটার ভাইরাসে ভর্তি হয়ে গেছে, এক্ষুনি ভাইরাসগুলো দূর না করলে ভীষণ বিপদ ঘটে যাবে! এমনকি আপনার কোন ড্রাইভে কী কী নামের কতটি ভাইরাস আছে, কোন ড্রাইভের কত শতাংশ জায়গা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দেখিয়ে দেবে এসব বার্তা।
ভুলেও এ ধরনের ফাঁদে পা দেবেন না। এই বার্তায় ক্লিক করা মানেই ল্যাপটপের সর্বনাশ ডেকে আনা।
রিমুভাল ড্রাইভ (পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, ডেটা কেব্ল, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি) দিয়ে তথ্য আদন-প্রদানের সময় ল্যাপটপ সবচেয়ে বেশি ভাইরাসের কবলে পড়ে। এসব ল্যাপটপে প্রবেশ করালে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিতে হবে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইনস্টল করাই শেষকাজ নয়।নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস হাল নাগাদ করে নিতে হবে।
রিমুভাল ডিস্ক কখনো ফোল্ডারের মতো দুই ক্লিকে খুলবেন না, এতে ভাইরাস ছড়াতে পারে। ডান ক্লিক করে ফোল্ডার অপশনে ক্লিক করে খুলবেন।
রিমুভাল ডিস্ক কম্পিউটার থেকে বিচ্ছিন্ন করার সময় সব সময় ইজেক্ট ডিস্কে ক্লিক করতে হবে না।চালু থাকা সব ধরনের ট্যাব বন্ধ করে খুলে ফেলুন।
আমরা অনেকে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মনে করি দু-তিনটি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখলে মনে হয় রক্ষা পাওয়া যাবে, এটি একদম ভুল ধারণা। একটির বেশি অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করবেন না।এতে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে থাকে।
অযথা সফটওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, সফটওয়্যারের সঙ্গে ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে।
ল্যাপটপের ব্লু-টুথ সক্রিয় রাখবেন না। কাজ শেষে ব্লু-টুথ অবশ্যই বন্ধ রাখবেন।
সার্ভারে যুক্ত এমন ল্যাপটপে সব ধরনের কাজ করবেন না, তাহলে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতে পারেন। দরকার হলে একটি ভালো লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে নেবেন এবং নিয়মিত নেট থেকে হালনাগাদ করে নিন। অটো আপডেট সুবিধা এনাবল (সক্রিয়) করে রাখবেন।
রানে গিয়ে টেম্প ফাইলগুলো মুছে দিন।অনেক দিন জমা পড়ে থাকলে এগুলোও ভাইরাসে রূপ নিতে পারে। কোনো ফাইল মুছতে না পারলেআনলকার নামের সফটওয়্যার দিয়ে প্রথমেই ফাইলটিকে আনলক করে নিন, তারপর ডিলিট করুন। ইন্টারনেটে সব ধরনের ওয়েবসাইটে না যাওয়াই ভালো।মেইলের নানান স্প্যামযুক্ত ই-মেইলগুলো খুলবেন না।
অ্যান্টিভাইরাসও মাঝেমধ্যে ভাইরাস হয়ে যায়, যদি আপনি অনেক দিন কম্পিউটার ফেলে রাখেন, ব্যবহার না করেন।
ল্যাপটপে পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে অটো প্লে সুবিধা বন্ধ রাখুন।
ভাইরাস ভাইরাস করেই অপারেটিং সিস্টেম দিতে যাবেন না, আগে প্রাথমিক কাজগুলো নিয়মিত করুন, তাহলেই হয়ে যাবে। সম্ভব হলে মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স ব্যবহার শুরু করুন।
বিএসডি/জেজে