শতাব্দী প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সরকারপ্রধানকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্যের জেরে সব মহলেই সমালোচনার ঝড় উঠে।
প্রতিবাদে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সঙ্গে ঢাকা, খুলনা সহ বিভিন্ন জেলায় সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আলালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিপদ আঁচ করতে পেরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন আলাল।
তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারও করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আলাল এ কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান গণমাধ্যমে আলালের ক্ষমা চাওয়ার একটি বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠান।
শায়রুল কবীর খান জানান, কিডনির জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে এখন ভারতের চেন্নাইয়ের এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলাল।
বক্তব্য আলাল বলেন, আমি প্রিয় স্বদেশ ভ’মি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবনসংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমার শরীরে একটি গুরুতর সার্জারি হয়েছে। সংগত কারণেই সকল দুঃসংবাদ থেকে পরিবার আমাকে দূরে রেখেছে। তারপরও বিলম্বে আমি জেনেছি, অতীতে আমার একটি বক্তব্য বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারো সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই। কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভূতিতে, তাদের সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সঙ্গে ওই বক্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি।
উল্লেখ, সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি পরে এক নায়িকার সঙ্গে অশালীন কথা বলেন। এতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। মুরাদের বক্তব্য কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়। সেখানে তাকে শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। এ নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়।
গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মুরাদ যা বলেছেন, তার চেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্য ভাষায় কথা বলেছেন আলাল। তবুও বিএনপি তাকে সমর্থন করেছে। এটাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির পার্থক্য।
বিএসডি/এসএফ