শতাব্দী প্রতিবেদক:
বিজয়ের ৫০ বছরেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পাননি দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করতে চলেছি। তবে দুর্ভাগ্যে, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু করেছিলাম, সেই লক্ষ্য গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল, তা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবে। বর্তমান সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফখরুল। এসময় আরো উপস্থিতি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অসংখ্য মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, স্বাধীনতার সময়ে যিনি বন্দি ছিলেন, যিনি দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কয়েক বছর ধরে সাজানো মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। এখন এ মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। আমরা বারবার বলেছি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হোক। তবে সরকার এতে কর্ণপাত করেনি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে একদিকে যেমন তারা বন্দী করে রেখেছে, চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। অন্যদিকে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের ওপর তারা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার বেগম খালেদা জিয়া শুধু নয়, কাউকেই তারা এখানে রাজনীতি করতে দিতে চায় না। এ দেশে তারা বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঠিক এ রকম একটি দিনে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের সময় হত্যা করেছে লাখ লাখ মানুষকে। জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।
বিএসডি/এসএফ