জবি প্রতিনিধি:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ১৬ জন শিক্ষক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবষেণা অনুদান  পেয়েছেন।  ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচির’ খাত হতে এ বিশেষ গবষেণা অনুদান প্রদান করা হবে।

শনিবার(১৮ ডিসেম্বর ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়বেসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা যায় ৷ এর আগে বুধবার  মন্ত্রণালয়রের ওয়বেসাইটে উপসচিব ড. মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বছর ৬৩৮ টি গবষেণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিতদের তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাত হতে যে সকল প্রকল্প প্রস্তাবের পিয়ার রিভিউ  কমিটি  কর্তৃক বিশেষ গবেষণা  অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে সুপারিশ এবং অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে, সেসব প্রকল্পে নিযুক্ত ফেলোশিপ প্রাপ্ত  শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে । বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শিক্ষকদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১৬ জন শিক্ষক এবার ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

মনোনীত শিক্ষকগণ যৌথভাবে প্রতিটি গবেষণার  জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে  ২/২.৫/৩/৪ লাখ টাকা করে পাবনে।

ফেলোশিপ পাওয়া বিভাগের শিক্ষকগণ হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী অধ্যাপক নিউটন হাওলাদার। গনিত  বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সরোয়ার আলম ও অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, বিষ্ণু পদ ঘোষ, ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক ও সহকারী অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, মো. লুৎফর রহমান , সহকারী অধ্যাপক অপর্ণা সরকার ও অধ্যাপক আবদুল আউয়াল এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. এ জে সালেহ আহম্মাদ, ড. মোহাম্মদ জামির হোসেন ও ড. মোহাম্মদ রাজিবুল হক আনন্দ। পর্দাথবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়রে অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-১৯৭৮ র্অথবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার র্কাযক্রম শুরু হয়। পাবলিক  বিশ্ববিদ্যালয় /গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল,  পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।

সাধারণত তিনটি  ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই  ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স,  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স , ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি  গ্রুপসহ ৬টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দশ্যে।

ভৌত, জৈব ও অজৈব বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি, ন্যানোটেকনোলজি, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এসব বিষয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে আবেদন করা যায়। সাধারণত এপ্রলি-মে মাসে  ফেলোশিপের দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। ফেলোশিপে মাধ্যমে  শিক্ষার্থী ও গবেষকদের  বিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি  বিষয়ক গবেষণা , বিজ্ঞান বিষয়ক র্জানাল প্রকাশনার সুযোগ থাকে।

বিএসডি/ এলএল