বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন জাকিরুল ইসলাম (৪০) নামে এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) কলেজ অডিটোরিয়ামে স্নাতক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে
জানা যায়, সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ইমপ্রুভ পরীক্ষা চলছিল। প্রথম বর্ষের একটি সাবজেক্টে ফলাফল খারাপ হওয়ায় ভুক্তভোগী ছাত্রী পুনরায় পরীক্ষা দিতে আসেন। কলেজ অডিটোরিয়ামে পরীক্ষার চলাকালীন সময়ে দুপুর ১টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্নভাবে শ্লীলতাহানি করেন।
কিন্তু মেয়েটি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ না করে বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মাকে বিষয়টি জানালে রোববার তারা কলেজ অধ্যক্ষ কাছে আসেন এবং বিষয়টি অবগত করেন। দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরকারি আজিজুল হক কলেজ অধ্যক্ষ তার নিজ কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে মুখোমুখি আলাপ-আলোচনা করেন। এ সময় কলেজের উচ্চপদস্থ শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম মেয়েটির শরীর স্পর্শ করার কথা স্বীকার করেন।
ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারে অবিশ্বাস্য। আমার মেয়ের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহাজাহান আলী বলেন, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত জাকিরুল ইসলাম ওই কলেজের আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক। তিনি বলেন, ‘মেয়েটির পরীক্ষার হলে বারবার পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিল। এজন্য আমি তাকে হাত ধরে সোজা করে দিয়েছি ।’
বিএসডি/এলএল