মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় জান্তার একটি বিশেষ আদালতে সু চির বিচার হচ্ছে। এই আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া সু চির আইনজীবীদের গণমাধ্যমে কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে ঠিক কী কারণে রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানা যাচ্ছে না।
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের উসকানি দেওয়া ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের দায়ে মামলায় সু চি চার বছর কারাদণ্ড হয়। চলতি মাসের শুরুতে ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর সেই সাজা কমিয়ে দুই বছর করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনি বলেন, বাড়িতে থেকেই এই সাজা ভোগ করবেন তিনি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এর পর থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এ ছাড়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। জান্তার এসব পদক্ষেপে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া দেশজুড়ে ১১ হাজার বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ সু চির বিরুদ্ধে আরও ৯টি মামলা করে জান্তা। সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
সূত্র:এএফপি
বিএসডি/ এলএল