নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী । রোববার রাতে বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে কৌশলে নির্যাতিত তরুণী বাস থেকে নেমে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ -এ ফোন করলে পুলিশ এসে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কিশোরগঞ্জজেলার মিঠামইন থানার মশুরিয়া গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে ও বাসচালক নূরুল হক (২১), বরগুনার আমতলী থানার চরখালি গ্রামের আল আমিনের ছেলে ও বাস কন্ডাক্টর শান্ত (১৬) এবং রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও বাসের হেলপার বুলেট (১৪)।
এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজেই বাদী হয়ে বন্দর থানায় গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী ঢাকার একটি সিটি করপারেশনে আবর্জনা অপসারনের গাড়ির হেলপার। রোববার রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় কেনাকাটা করতে যাওয়ার জন্য ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে সায়েদাবাদ-গাউছিয়া রুটে চলাচলকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিবহন নামে একটি বাসে উঠেন ওই তরুণী।
ওসি আরও জানান, বাসটি চিটাগং রোডে আসার পর সব যাত্রী নেমে যান। পরে ওই গৃহবধূকে নিয়েই বাসটি বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে জাহিন গার্মেন্টের সামনে পৌঁছে। ওই সময় বাসের চালক উচ্চ স্বরে গান ছেড়ে দেয় এবং ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চালকসহ অভিযুক্ত তিনজনই ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী কৌশলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার কথা বলে বাস থেকে নেমে ‘৯৯৯’-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের চালক, কন্ডাক্টর ও বাসের সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।
বিএসডি/ এলএল