বাংলাদেশের কাছে করোনা ভাইরাসের টিকা বিক্রির চুক্তিটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। রাশিয়ার সঙ্গে টিকার চুক্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চুক্তিটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
কবে টিকা আসবে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।
রাশিয়া থেকে এক কোটি টিকা কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এ মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে টিকা কেনার আলোচনা শেষ করে বাংলাদেশ জুলাই থেকে স্পুতনিক-ভি টিকার প্রথম চালান পেতে আগ্রহী। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব টিকা দেশে আসবে। বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাস টিকা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা রপ্তানি বন্ধ করার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। মার্চ মাস থেকে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু হয়। এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতে যথাক্রমে রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সরকার।