জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভিক্ষুক ও টোকাই ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এ কারণে দারুণভাবে বিব্রত হতে হচ্ছে পর্যটকদের। ভিক্ষুক ও টোকাইয়ের হাতে প্রতিনিয়ত প্রতারণা ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও দিন দিন বেড়েই চলেছে তাদের উৎপাত।
সমুদ্রসৈকতসহ প্রায় সব পর্যটক এলাকায় ভিক্ষুক ও টোকাইদের আনাগোনা। বিগত কয়েক বছর কম দেখা গেলেও হঠাৎ এই সংখ্যা কয়েক গুন বেড়ে গেছে। তাদের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকেই ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে ছিনতাই করে।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটক ঘুরতে আসেন। তবে সৈকতে নিরিবিলি পরিবেশে শান্তি খুঁজতে এসে পর্যটকরা পড়ছেন বিপাকে। ভিক্ষুক ও টোকাইরা অতিষ্ট করে তুলছে পর্যটকদের। এ ছাড়া তাদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক পর্যটক। এমনটাই জানিয়েছেন সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জিকু বলেন, কক্সবাজার এসেছি কিছু একান্ত সময় পার করতে। কিন্তু এখানে এসে আরও বিপাকে পড়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পরপর ভিক্ষুকরা এসে টাকা চায়। একজনকে বিদায় করতে না করতে চলে আসে আরেকজন। প্রতি ঘণ্টায় ১০ জন ভিক্ষুক যদি ভিক্ষা চায়, তাহলে আমরা কি শুধু ভিক্ষা দিতেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসেছি?
রংপুর থেকে সপরিবারে আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা দিয়ে বিচের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুজন ভিক্ষুক এসে টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় কাপড় ধরে রাস্তা আটকিয়ে দেয়? তাদের হাতে এক প্রকার লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।
আরেক পর্যটক নাদিয়া ইসলাম জানান, বিচে নামার পর থেকে এক ভিক্ষুক পিছু ছাড়ছে না। শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে হয়েছে। এটা ভিক্ষা নয়, জোর করে আদায় করা।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটকরা যেন হয়রানির শিকার না হন সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখব।
বিএসডি/এসএফ