বিনোদন ডেস্ক :
পানামা পেপারসে নাম আসায় সোমবার বলিউড নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাইকে তলব করা হয়েছিল দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ইডি) কার্যালয়ে। সেখানে তাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন বচ্চন পরিবারের বধূ। খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির অভিযোগে ঐশ্বরিয়ার বয়ান রেকর্ড করেন ইডি কর্মকর্তারা। কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা রাখার অভিযোগে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৯৯-এর আওতায় তার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। এর আগে ঐশ্বরিয়া নিজের বিদেশে অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা ও সম্পত্তির বিবরণ ইডি কার্যালয়ে জমা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের জানতে চাওয়া হচ্ছে, ২০০৪ সালের পর থেকে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এলআরএসের আওতায় বিদেশে কোথায় এবং কত সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন ঐশ্বরিয়া। ঐশ্বরিয়া এ সংক্রান্ত প্রশ্নের নথি উপস্থাপন করেছেন।
ভারতের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— অমিতাভ বচ্চনকে চারটি কোম্পানির পরিচালক করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি ছিল বাহামাসে, একটি ছিল ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে। ১৯৯৩ সালে এগুলো গঠন করা হয়। এসব কোম্পানির মূলধন ছিল ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু এসব কোম্পানি ওই জাহাজগুলোর ব্যবসা করে আসছে, যার মূল্য ছিল কোটি টাকা। ঐশ্বরিয়া রাইকে প্রথমে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়। পরে তাকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ঘোষণা করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রথমত তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কীভাবে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ হলো নায়িকার? ঐশ্বর্যের পাশাপাশি তার বাবা-মাও এ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। তাই ঐশ্বরিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার পরিবার কীভাবে যুক্ত হলো এ জালিয়াতির সঙ্গে? ২০০৫ সালের জুন মাসে কেন শেয়ারহোল্ডার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া? গত ১৫ বছরের বিদেশি পেমেন্টের সব রেকর্ড এদিন ইডির হাতে তুলে দেন বচ্চন বধূ।
অভিযোগ রয়েছে, দ্বীপ রাষ্ট্র পানামায় অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে টাকা রাখতেন বিশ্বের বহু সেলিব্রিটি। ২০১৬ সালে পানামার একটি লিগ্যাল ফার্ম ‘মোসাক ফনসেকার পক্ষ থেকে ফাঁস হয়ে যায় সেই ব্যক্তিত্বদের নাম, যেখানে উঠে আসে বহু প্রভাবশালী ভারতীয়ের নাম।
শচীন টেন্ডুলকার, অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চনের পাশাপাশি এতে নাম রয়েছে ঐশ্বরিয়ারও।