বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস সামনে রেখে ১৪ বছরের কিশোর তেজাস তৈরি করেছেন এক অভিনব অ্যাপ। যার মাধ্যমে সাধারণ ভাষাকে যেমন বধির ও শ্রবণ-প্রতিবন্ধীদের ভাষায় রূপান্তর করা যায়। একইভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাষাকেও সাধারণ মানুষের উপলব্ধ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব।
এর মধ্যে রেসপন্সিবল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ফর ইয়ুথ নামের একটি প্রোগ্রামের কথা জানতে পারে সে। এটি ছিল স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটালভাবে প্রস্তুত করে তোলার একটি প্ল্যাটফর্ম।
তেজাস তার ধারণাটি সেখানে তুলে ধরেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তা গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, তার ধারণা, ভারতের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ধারণাগুলোর মধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়া প্রায় এক বছর ধরে চলে। এ সময় তেজাসকে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দেওয়া হয়। অবশেষে, এ প্রকল্পে তিনি বিজয়ী হন। অ্যাপ কীভাবে শ্রবণ-প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তেজাস বলেন, প্রথমে ক্যামেরা চালু করতে হবে। তারপর এমন ব্যক্তির দিকে ধরতে হবে যিনি সাংকেতিক ভাষায় কথা বলছেন। অ্যাপটি এটিকে অনুবাদ করবে এবং নির্বাচন করা অপশনের ওপর নির্ভর করে স্পিচ বা টেক্সট মেসেজে রূপান্তর করবে।
একইভাবে, একজন ব্যক্তি যদি সাংকেতিক ভাষায় কিছু জানাতে চান, তাকে অ্যাপটির সামনে বলতে বা লিখতে হবে। তখন এটি ভার্চুয়াল রোবটের সাহায্যে বধির ব্যক্তির উপযোগী সাংকেতিক ভাষায় রূপান্তর করবে।
যেহেতু সবেমাত্র অ্যাপটি তৈরি হয়েছে, তাই বর্তমানে ইংরেজি ভাষাতেই একে পাওয়া যাবে। তবে শিগ্গির অন্যান্য ভাষা যুক্ত হবে। তার বিশ্বাস অ্যাপটি শ্রবণ-প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গেম-চেঞ্জার হয়ে উঠবে।