জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রবীণদের প্রতি নিপীড়ন ক্রমেই বেড়ে চলছে। তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিরা বয়স্ক পিতা-মাতার প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা দেখাচ্ছেন, যা সবসময় আমাকে ব্যথিত করে।
তিনি বলেন, পিতা-মাতার প্রতি অবহেলা প্রদর্শনকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা এখন বাস্তবতার নিরিখে অপরিহার্য।
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক প্রবীণ সম্মেলেনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ তথা প্রবীণদের প্রতি নবীনদের দায়িত্ব পালন সব ধর্মেরই শিক্ষা। সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের পিতা-মাতার ভরণ পোষণ নিশ্চিত করবে।
বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা ও বর্তমান সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টির জন্য প্রবীণদের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, তাই তাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ও সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিজ অবস্থান থেকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। সরকার প্রণীত প্রবীণ নীতিমালা পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন পূর্ণ বাস্তবায়নে সমাজের সবাইকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের গৌরবোজ্জল সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রবীণ সম্মেলন-২০২১ আয়োজন করে সিনিয়র সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সোসাইটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।