আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মাত্র একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর পুরো শহরকে কার্যত গৃহবন্দি করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের বের হওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও সকল গণপরিবহন।
শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এই ঘটনা ঘটেছে ভিয়েতনাম সীমান্তবর্তী চীনের একটি শহরে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম সীমান্তবর্তী চীনের স্বায়ত্তশাসিত গুয়াংজি অঞ্চলের ডংজিং শহরের স্থানীয় এক বাসিন্দার শরীরে করোনা শনাক্তের পরপরই বুধবার পুরো শহরে কার্যত লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। শহরের সকল বাসিন্দাকে আপাতত বাড়িতেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি শহরের ভেতরে চলাচলকারী সকল গণপরিবহন ও কিছু স্কুলের কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বাইরের প্রদেশ থেকে গুয়াংজি অঞ্চলে পর্যটক প্রবেশেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি বন্দর থেকে কার্গো জাহাজের যাতায়াতও সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিনেমা হলও।
অবশ্য গত তিন মাস ধরেই চীনের সীমান্তবর্তী বহু ছোট ছোট শহরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটির বড় বড় শহরগুলোর তুলনায় সীমান্তবর্তী ছোট ছোট এসব শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ততোটা উন্নত নয়।
রয়টার্স বলছে, এসব শহরে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই বিদেশ থেকে এসেছেন বা বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শে এসেছেন। আর তাই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই সীমান্তবর্তী এসব শহরে নজরদারি বাড়িয়েছে বেইজিং।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, দেশটির গুয়াংজি প্রদেশের ডংজিং শহরেও একইভাবে একজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পরই বুধবার থেকে পুরো শহরের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই লাখ জনসংখ্যার এই শহরের সকল বাসিন্দাকে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, গুরুতর কোনো উপসর্গ না থাকলেও নিয়মতান্ত্রিক পরীক্ষার সময়ই ডংজিং শহরের ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে তার শরীরে হালকা উপসর্গ রয়েছে। বিদেশে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস না থাকায়, দেশের অভ্যন্তরেই ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএ